মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় "কোনো অগ্রগতি হয়নি" জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার ভোররাত থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরের একাধিক আবাসিক ভবন ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া রাতভর রেকর্ড ৫৩৯টি ড্রোন নিক্ষেপ করে, যার মধ্যে ৪৭৬টিকে তারা ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। ড্রোনের পাশাপাশি ১১টি ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়া হয়। কিয়েভ শহর ও সামরিক কর্তৃপক্ষের মতে, প্রায় ১৩ ঘণ্টা ধরে চলা এই হামলায় অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৪ঠা জুলাই) ভোরের দিকে বিকট বিস্ফোরণ এবং ড্রোনের শব্দে কেঁপে ওঠে কিয়েভ। হাজার হাজার বাসিন্দা জীবন বাঁচাতে পাতাল রেল স্টেশন এবং ভূগর্ভস্থ পার্কিং লটে আশ্রয় নেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা এটিকে "কিয়েভের জন্য একটি ভয়াবহ এবং নিদ্রাহীন রাত, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ রাতগুলোর মধ্যে একটি" বলে অভিহিত করেছেন।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, এই হামলায় শহরের বিভিন্ন জেলায় আগুন লেগে যায়। বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে। এছাড়াও, কিয়েভের রেললাইনের একটি অংশ এবং আহতদের সহায়তার জন্য ছুটে যাওয়া পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সও হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এর ঠিক আগেই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে জানান যে, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ফোনে কথা বলেছেন কিন্তু যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে "কোনো অগ্রগতি করতে পারেননি"। হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, আলোচনাটি ফলপ্রসূ হয়নি।
তথ্যসূত্র সিএনএন।
ডিবিসি/এমইউএ