অনেকে খুব গাঢ় শেডের লিপস্টিক ব্যবহার করেন। তবে এই গাঢ় শেডের লিপস্টিক ঠোঁট রাঙাতে গিয়ে ঠোঁটের ক্ষতি হয়ে থাকে অনেক সময়।
অনেক সময় দেখা যায়, নামি কোম্পানির লিপস্টিক ও লিপগ্লস ব্যবহার করলেও সবার ত্বকে সব কিছু খাপ খায় না। তাই সে দিকেও নজর রাখা জরুরি।
ঠোঁটের কালচে দাগের যে শুধু গাঢ় শেডের লিপস্টিক ব্যবহারের কারণে হয়ে থাকে এমন নয়। অনেক সময় আর্দ্রতা হারালেও ঠোঁট বিবর্ণ ও ঠোঁট কালো হয়ে যায়। তাই ত্বকের মতো ঠোঁটেরও সমান যত্ন নেয়া জরুরি।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ও ধূমপানের অভ্যাসও ঠোঁট কালো হয়ে থাকে। কারণ সিগারেটের নিকোটিন ঠোঁটে প্রবেশ করে বিবর্ণ করে তোলে ঠোঁটকে। আর অতিরিক্ত চা-কফি পানের অভ্যাস থাকলে তা থেকেও ঠোঁটে হতে পারে কালচে দাগ।
আসুন জেনে নিই ঠোঁটের কালচে দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়-
১। লেবুর রস ও চিনি: লেবু আর চিনি লাগান। এক টুকরা লেবুর ওপর চিনি দিয়ে আস্তে আস্তে ঘষে নিন ঠোঁটের ওপর। আলতো হাতে প্রায় ২ মিনিট ঘষে নিন। চিনি এখানে স্ক্র্যাবারের কাজ করবে। চিনি ঠোঁটের মরা চামড়াগুলোকে ঘষে তুলে দিতে সাহায্য করে আর লেবু ঠোঁটের কালো হয়ে যাওয়া চামড়াকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
২। টমেটোর রস: টমেটোর রস বা টমেটোর টুকরো ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন অন্তত দুবার করে টমেটোর রস ঠোঁটে মাখুন। এতে আপনার ঠোঁট উজ্জ্বল হবে।
দুধ বা টক দই মাখুন। ঠোঁটকে উজ্জ্বল করতে ল্যাক্টিক অ্যাসিড খুবই উপকারী। দুধ বা টক দইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ল্যাক্টিক অ্যাসিড। দুধ বা টক দই তুলোয় নিয়ে প্রতিদিন অন্তত দু’বার করে ঠোঁটে মালিশ করুন।
৩। চিনি আর মধু: মধু আর চিনির সঙ্গে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিনিট দশেক আলতোভাবে ঠোঁটে মাখুন। এই মিশ্রণ আপনার ঠোঁটকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
৪। মধু, চিনি আর বাদামের তেল: মধু, চিনি আর বাদামের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিয়ে নিয়মিত ঠোঁটে মালিশ করুন। এই মিশ্রণ আপনার ঠোঁটের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তার কোমলতাও বাড়াবে।
৫। গোলাপজল ও অলিভ ওয়েল: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গোলাপজল ও অলিভ ওয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন। নিয়মিত ৭ দিন মেনে চললেই পার্থক্য চোখে পড়বে আপনার।
ডিবিসি/এএনটি