বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা বাতিল করে সাইবার সুরক্ষা আইন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই আইন কার্যকর হতে পারে এক সপ্তাহের মধ্যেই। ফলে আগের আইনের প্রায় ৯৫ ভাগ মামলাই বাতিল হয়ে যাবে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে, নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় বিদ্বেষপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দেখানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন আইন উপদেষ্টা।
গণমানুষ ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের জন্য বিগত সরকারের অন্যতম ভয়াবহ আইন হিসেবে পরিচিত পেয়েছিলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। জুলাই অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাগুলোকে বাদ দিয়ে নতুন আইন প্রনয়ণের ঘোষণা ছিলো বর্তমান সরকারের।
মঙ্গলবার (৬ই মে) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন হয় নতুন সেই আইন। যে আইনে নানাভাবে হয়নারি ও ভোগান্তির শিকার হয়েছে ভিন্ন মতের বহু মানুষ। বিভিন্ন সময়ে এই আইন নিয়ে সমালোচনা ও প্রতিবাদ করেও বাতিল করা যায়নি বিতর্কিত ধারাগুলোকে। যা কার্যকর হবে আগামী সপ্তাহেই।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, বিতর্কিত ৯টি ধারা বাদ দেয়া হয়েছে যেখানে থাকা সব মামলা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বাতিল হয়ে যাবে। নতুন আইনে শাস্তি কমানো হয়েছে, মানুষকে কথা বলার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নিয়ে প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেন আইন উপদেষ্টা। সভায় অনুমোদন হয় জাতীয় যুব উদ্যোক্তা উন্নয়ন নীতিমালা ২০২৫। যার মাধ্যমে তরুণদের বিশ্বমানের হিসেবে প্রস্তুত করা হবে বলে জানান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয় সিআরপিসি আইনেরও। যাতে বিচারপ্রার্থীর ভোগান্তি কমবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা। একই সভায় আগামী ঈদ উল আযহার ছুটি বাড়িয়ে ১০ দিন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
ডিবিসি/ রাসেল