সকাল কিংবা বিকেলের নাস্তায় সেদ্ধ ডিম অথবা রাতে বাড়ি ফিরে ডিম ভাজা। প্রত্যেকের বাড়িতে প্রতিদিন ২-৪টি ডিম খাওয়া হয়। সেই ডিমের খোসা প্রায় মানুষই ফেলে দেন। কিন্তু এই খোসা ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রেখে বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারেন।
ডিমের ফেলে দেওয়া এই খোসার রয়েছে রাসায়নিক গুণাবলী। তাছাড়াও ডিমের খোসা দিয়ে অনেক কিছু করা যায়। জেনে নিন এই প্রতিবেদন থেকে।
গাছের সার:
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সার হিসেবে ডিমের খোসা বেশ কাজের। তাই গাছের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে ডিমের খোসা ব্যবহার করতে পারেন।
পাখির খাবার:
সেদ্ধ ডিমের খোসা ফেলে না দিয়ে বাগানের এক কোণে জমা করে রাখুন। একসঙ্গে অনেক খোসা জমলে সেগুলো ভালো করে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। বাড়ির পোষা পাখির ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার হতে পারে ডিমের খোসা।
অস্থিসন্ধির ব্যথায়:
কাচের একটি পাত্রে অ্যাপল সিডার ভিনেগার এবং ডিমের খোসা একসঙ্গে ভিজিয়ে রাখুন। দুই-তিন দিন পর ডিমের খোসাগুলো ভিনেগারে সম্পূর্ণ দ্রবীভূত হয়ে যাবে। পা মচকে গেলে বা অস্থিসন্ধির ব্যথায় তৎক্ষণাৎ আরাম দিতে পারে এই মিশ্রণ।
মেঝে পরিষ্কার করতে:
পাথরের মেঝে পলিশ করতে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। সেই রাসায়নিক থেকে অনেকেরই সাইনাস, অ্যালার্জিজনিত সর্দি-কাশি, ত্বকে নানা ধরনের র্যাশ বেরোতে দেখা যায়। সেই কাজ কিন্তু খুব ভালোভাবে করে দিতে পারে ডিমের খোসা। মেঝের ওপর ডিমের খোসার গুঁড়ো ছড়িয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিলেই মেঝে একেবারে ঝকঝকে হয়ে ওঠবে। তাই ফেলে না দিয়ে কাজে লাগান ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ডিমের খোসা।
ডিবিসি/আরপিকে