নতুন সুপারম্যানকে নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে, আর তার প্রতিফলনই দেখা গেল বক্স অফিসের প্রিভিউ আয়ে। জেমস গান পরিচালিত এবং ডেভিড কোরেনসোয়েট অভিনীত 'সুপারম্যান' প্রথম দিনেই আয় করেছে ২২.৫ মিলিয়ন ডলার, যা এই বছরের সবচেয়ে বড় হিট 'লিলো অ্যান্ড স্টিচ' $১৪.৫ মিলিয়ন কেও ছাড়িয়ে গেছে। এটি পরিচালক হিসেবে জেমস গানের ক্যারিয়ারেরও সেরা ওপেনিং; তার আগের ছবি 'গার্ডিয়ানস অফ দ্য গ্যালাক্সি ভল.৩'এর $১৭.৫ মিলিয়ন এর রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে এই সিনেমা।
বিশ্লেষকদের ধারণা, প্রথম সপ্তাহান্তেই আমেরিকার বক্স অফিসে সিনেমাটি ১২০ থেকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার আয় করতে চলেছে। ইতিবাচক রিভিউ এবং দর্শকদের মুখে মুখে ভালো প্রচারণার কারণে এই আয় ১৪০ মিলিয়ন ডলারও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজার থেকেও প্রথম সপ্তাহান্তে ১০০ মিলিয়ন ডলার আয়ের আশা করা হচ্ছে, যার ফলে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির প্রথম সপ্তাহান্তের আয় সহজেই ২০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ২২৫ মিলিয়ন ডলারের বিশাল বাজেটে নির্মিত এই সিনেমার এমন দুর্দান্ত শুরু নিশ্চিতভাবেই ডিসি স্টুডিওসের জন্য এক বিশাল স্বস্তির খবর।
'দ্য ফ্ল্যাশ', 'অ্যাকোয়াম্যান অ্যান্ড দ্য লস্ট কিংডম', 'শাজাম: ফিউরি অফ দ্য গডস' এবং 'ব্লু বিটল'-এর মতো সিনেমাগুলোর ব্যর্থতায় ডিসি স্টুডিওস যখন খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে, তখন এই 'সুপারম্যান' সিনেমাটি তাদের জন্য এক নতুন জীবন নিয়ে এসেছে। এটি শুধু একটি একক সিনেমা নয়, বরং জেমস গান এবং পিটার স্যাফরানের নেতৃত্বে তৈরি হতে চলা নতুন ডিসি ইউনিভার্স (ডিসিইউ) এর প্রথম অধ্যায়। তাই এই সিনেমার সাফল্য ছিল অত্যন্ত জরুরি।
নতুন এই 'সুপারম্যান'-এ ডেভিড কোরেনসোয়েটকে দেখা গেছে আগের সংস্করণগুলোর চেয়ে অনেক বেশি প্রাণবন্ত এবং কম গম্ভীর চরিত্রে। সমালোচকরা বলছেন, হেনরি ক্যাভিলের গম্ভীর সুপারম্যানের পরিবর্তে এই নতুন উজ্জ্বল ও আশাবাদী সুপারম্যানকে দর্শক দারুণভাবে গ্রহণ করেছে। সিনেমায় লেক্স লুথার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিকোলাস হোল্ট এবং লোইস লেনের ভূমিকায় আছেন র্যাচেল ব্রসনাহ্যান। এছাড়াও গাই গার্ডনার, হকগার্ল, মিস্টার টেরিফিকের মতো অন্য সুপারহিরোদের উপস্থিতিও সিনেমাটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এই সাফল্য প্রমাণ করে, সঠিক পরিচালনা এবং একটি ভালো গল্পের মাধ্যমে ডিসি আবারও দর্শকদের মন জয় করতে সক্ষম।
তথ্যসূত্র: ভ্যারাইটি
ডিবিসি/জেআরওয়াই