আন্তর্জাতিক, ইউরোপ

ডেনমার্কের নতুন পদক্ষেপ, বাল্টিক সাগরে সেইলড্রোন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১১ই জুলাই ২০২৫ ০৬:৩৭:০৩ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রাশিয়া থেকে হাইব্রিড হামলার ক্রমবর্ধমান হুমকির মধ্যে সমুদ্রতলের অবকাঠামো রক্ষা এবং সমুদ্র নজরদারি জোরদার করতে ডেনমার্ক বাল্টিক সাগরে ভাসমান ড্রোন মোতায়েন করছে।

ক্যাসিফোর্নিয়া ভিত্তিক সংস্থা 'সেইলড্রোন'-এর আগমনে ডেনমার্কে ডিজিটাল সুরক্ষার মতো সংবেদনশীল ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আরও দৃঢ় সম্পর্ক তৈরির জন্য সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

 

এই বিতর্কিত পদক্ষেপটি দ্রুত পরিবর্তনশীল জোট, বিকশিত প্রযুক্তি এবং কোপেনহেগেন ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এসেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড, যা ডেনিশ রাজ্যের অংশ, দখল করার হুমকি দেওয়ার পর থেকে এই উত্তেজনা চলছে।

 

১০ মিটার দীর্ঘ মানববিহীন এই যানগুলো, যা "সেইলড্রোন" নামে পরিচিত, দেখতে পালতোলা নৌকার মতো, তবে এগুলো শুধুমাত্র ডেটা সংগ্রহের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। অনবোর্ড এআই ব্যবহার করে, সেইলড্রোনগুলো একাধিক সেন্সর, ক্যামেরা এবং রাডার ব্যবহার করে ডেটা সংগ্রহ করে সমুদ্রের কার্যকলাপের একটি বিস্তারিত চিত্র তৈরি করে, যা উপগ্রহের চেয়েও বেশি বিস্তারিত।

 

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রীরা বাল্টিক সাগরে রাশিয়ার 'শ্যাডো ফ্লিট' এর বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।

 

এই সংস্থাটি এর আগে মার্কিন নৌবাহিনীর সাথে কাজ করেছে, যারা মাদক পাচার এবং অবৈধ মাছ ধরার অভিযান মোকাবিলায় তাদের যান ব্যবহার করেছিল। ডেনমার্কে এর আগমন ইউরোপীয় জলসীমায় প্রতিরক্ষা উদ্দেশ্যে এর প্রথম ব্যবহার।

 

সেইলড্রোনের সিইও রিচার্ড জেনকিন্স বলেন, "সেইলড্রোনের উদ্দেশ্য হলো এমন জায়গায় চোখ ও কান দেওয়া, যেখানে আগে আমাদের চোখ ও কান ছিল না।"

 

রাশিয়ার তথাকথিত শ্যাডো ফ্লিট পুরনো ট্যাঙ্কারগুলো নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চীন ও ভারতে অপরিশোধিত তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয় ,যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ার সাথে সাথে সেইলড্রোনগুলো জাহাজের পরিচয় যাচাই করতে এবং পাইপলাইন বা ডেটা ক্যাবলগুলোতে সমুদ্রতলের নাশকতা নির্দেশ করতে পারে এমন অস্বাভাবিক গতিবিধি চিহ্নিত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

ডেনিশ সশস্ত্র বাহিনী সমুদ্র নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা বাড়াতে বাল্টিক সাগরে চারটি সেইলড্রোন মোতায়েন করছে।

 

ভাসমান ড্রোনগুলো ডিজেল, বায়ু এবং সৌরশক্তি দ্বারা চালিত হতে পারে এবং এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সমুদ্রে থাকতে পারে, তবে তাদের গড় মোতায়েনের সময়কাল ১০০ দিন। পুরো বাল্টিক সাগরকে কভার করার জন্য ১০ থেকে ২০টি সেইলড্রোনের প্রয়োজন হবে।

তথ্যসূত্র:দ্যা গার্ডিয়ান

 

 

ডিবিসি/জেআরওয়াই

আরও পড়ুন