ডেনমার্কের আলবোর্গ চিড়িয়াখানা এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যেখানে শিকারি প্রাণীদের খাদ্য হিসেবে জনগণের কাছ থেকে 'অপ্রয়োজনীয়' পোষা প্রাণী চাওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের আওতায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সুস্থ খরগোশ, গিনিপিগ এবং মুরগির মতো প্রাণী দানের আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া, ঘোড়া দান করার সুযোগও রাখা হয়েছে, এবং দাতারা এর বিনিময়ে করছাড়ের সুবিধা পেতে পারেন।
চিড়িয়াখানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো শিকারি প্রাণীদের জন্য একটি প্রাকৃতিক খাদ্যচক্র তৈরি করা। ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত এক পোস্টে তারা জানায়, এই ছোট প্রাণীগুলো তাদের খাদ্যতালিকার একটি অপরিহার্য অংশ, যা বন্য পরিবেশের শিকারের অভিজ্ঞতার কাছাকাছি। বিশেষ করে ইউরেশিয়ান লিংক্সের মতো প্রাণীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিড়িয়াখানায় লিংক্স ছাড়াও সিংহ এবং বাঘের মতো শীর্ষ শিকারি প্রাণী রয়েছে।
দান করা প্রাণীগুলোকে চিড়িয়াখানার প্রশিক্ষিত কর্মীরা যন্ত্রণাহীনভাবে (ইউথেনাইজ) করেন। ঘোড়া দানের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। চিড়িয়াখানার ওয়েবসাইটে একটি বাঘের মাংস খাওয়ার ছবির পাশে বলা হয়েছে, ঘোড়াটির অবশ্যই একটি 'হর্স পাসপোর্ট' থাকতে হবে এবং শেষ এক মাসের মধ্যে কোনো গুরুতর রোগের চিকিৎসা করা হলে তা গ্রহণ করা হবে না।
আলবোর্গ চিড়িয়াখানার উপপরিচালক, পিয়া নিলসেন, এই উদ্যোগকে সমর্থন করে বলেন, বহু বছর ধরেই শিকারি প্রাণীদের খাদ্য হিসেবে ছোট গৃহপালিত প্রাণী ব্যবহার হয়ে আসছে। শিকারি প্রাণীদের মাংস খাওয়ানোর সময় লোম, হাড়সহ খাওয়ানোই সবচেয়ে স্বাভাবিক।
তিনি আরও যোগ করেন, যেসব প্রাণীকে বিভিন্ন কারণে মেরে ফেলতে হয়, সেগুলোকে এভাবে শিকারি প্রাণীর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা একটি যৌক্তিক সমাধান। ডেনমার্কে এটি একটি সাধারণ অভ্যাস এবং আমাদের দর্শনার্থী ও অংশীদাররা এই উদ্যোগে শামিল হতে পেরে খুশি। তথ্যসূত্র: বিবিসি
ডিবিসি/এএমটি