বাংলাদেশ, রাজধানী

ঢাকায় হযরত ফাতেমা (সা. আ.) এর স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

৬ ঘন্টা আগে
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কন্যা হযরত ফাতিমা (সা. আ.)-এর স্মরণে রাজধানী ঢাকার কবি নজরুল ইসলাম ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকাস্থ আল মোস্তফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ প্রতিনিধির দপ্তর ও বাংলাদেশ ইমামিয়া উলামা সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়। ‘হযরত ফাতেমা যাহরা (সা. আ.) এর ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদার বিভিন্ন দিক’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আল-মুস্তাফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন শাহাবুদ্দিন মাশায়েখি রাদ।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. জালিল রাহমানি জাহানাবাদী। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক ড. আনোয়ারুল কবির। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীরমোহাম্মদী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম গাউস কাদেরি। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইমামিয়া উলামা সোসাইটির মহাসচিব ড. আব্দুল কুদ্দুস বাদশাহ।

 

আলোচনায় বক্তারা হযরত ফাতেমা (সা. আ.)-কে বিশ্বের সকল নারীর, বিশেষ করে মুসলিম নারীদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে অভিহিত করেন। তাঁরা বলেন, মহানবী (সা.)-এর কন্যা ছিলেন তাঁর শিক্ষা ও আদর্শের অনুপম প্রতিচ্ছবি এবং তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন বেহেশতের সুবাস নিয়ে। বক্তারা রাসুল (সা.)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেন যে, হযরত ফাতেমা জগতসমূহের নারীদের নেত্রী, মহানবীর দেহের অংশ ও চোখের আলো। মেহরাবে নামাজের সময় তাঁর নূর আকাশের ফেরেশতাদের আলোকিত করত বলেও তাঁরা উল্লেখ করেন।

 

বক্তারা আরও বলেন, হযরত ফাতেমার জীবনী আজকের নারীদের শেখায় যে, তাকওয়া, প্রজ্ঞা ও পবিত্রতা বজায় রেখে নারীরা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। তিনি যেমন পরিবারে স্ত্রী ও মাতার ভূমিকা ক্ষুণ্ন না করে সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন, তেমনই আজকের নারীরাও তাঁর জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করতে পারেন। তাঁর ঈমান, ধৈর্য ও সাহসের শিক্ষা নারীদের নৈতিকতাসম্পন্ন ও প্রভাবশালী ভূমিকা পালনে উদ্বুদ্ধ করবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
 

ডিবিসি/আরএসএল

আরও পড়ুন