বাংলাদেশ, রাজধানী

ঢাকায় ইমাম খোমেইনী (রহ.)-এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ৩রা জুন ২০২৫ ০৯:২০:১৯ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ইরানের ইসলামি বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেইনী (রহ.)-এর ৩৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩রা জুন) ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘ইমাম খোমেইনি (রহ.): ইসলামী দেশগুলো ও মুসলমানদের স্বাধীনতা ও মুক্তির রক্ষক’ শীর্ষক  এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

 

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ বি এম ওবাইদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভূশি। 


অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাখালী দারুল উলুম হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল  ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আল মারুফ ও খুলনার ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের প্রিন্সিপাল হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন সাইয়্যেদ ইব্রাহিম খলিল রাজাভী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেযা মীরমোহাম্মাদী। 


অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইমাম খোমেইনী (রহ.) ছিলেন এক অনবদ্য আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব, দৃঢ় প্রত্যয়ী আরেফ, দার্শনিক, বিজ্ঞ রাজনীতিবীদ, খোদাভীরু চিন্তাবিদ,সাহসী বিপ্লবী ও মানবতার জন্য নিবেদিত পথপ্রদর্শক। ইসলামী দেশগুলো ও মুসলমানদের স্বাধীনতা ও মুক্তির রক্ষক’। তিনি বিশ্বের সমসাময়িক ইতিহাসে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছেন এবং ইরানে ইসলামী বিপ্লব প্রতিষ্ঠা করে ইতিহাস সৃষ্টিকারীতে পরিণত হয়েছেন। 

 

তিনি শুধু একটা সময় নয়, গোটা যুগের চিন্তাধারা পাল্টে দেন। তার প্রতিষ্ঠিত ইসলামি বিপ্লব দুনিয়ার মুসলমানের কাছে মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সমগ্র মানবতার কাছে এক নুতন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ঐতিহাসিক এই বিপ্লবের সাড়ে ৪ দশকের সাফল্য আজ বিশ্বের সকল মুসলিম ও স্বাধীনতাকামী জাতির জন্য একটি রোল মডেল। 

 

দশকের পর দশক ধরে চলমান নানা ষড়যন্ত্র ও কঠিন অবরোধের মধ্যেও বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে দেশটি। আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইরান বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে শক্তিশালী অবস্থান বলে দিচ্ছে দেশটি কতটা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। শিক্ষা, বিজ্ঞান, উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন নেতৃস্থানীয় দেশের তালিকায় রয়েছে ইরান।

 

ডিবিসি/এএমটি

আরও পড়ুন