বাংলাদেশ, জাতীয়, আইন ও কানুন

ঢাকায় বায়ুদূষণ রোধে হাইকোর্টের রুল

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ২৭শে এপ্রিল ২০২৫ ০১:৪০:১৪ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার  হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. মনির উদ্দিন।

 

এর আগে ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দেন রিটকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন।

 

ওই চিঠিতে বলা হয়, গত নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বাতাসের মান খারাপ ছিল গত ১৪ই ডিসেম্বর যাতে বায়ুর গড় মান ছিল ২৮৮ বায়ুর মান। অর্থাৎ বায়ুমান সূচক ০-৫০ থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয় ৫১-১০০ হলে তা সহনীয় বা গ্রহণ যোগ্য ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১-৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। ৩০১ বা তার বেশি এ কিউআই স্কোরকে দুর্যোগ পূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

 

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার বায়ু দূষণে তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো। গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি তারিখ সারা বিশ্বের ১২৪টি দূষিত নগরীর মধ্যে ঢাকা ছিল দূষণের দিক থেকে প্রথম। এই দিন ঢাকার বাতাসের বায়ুমান ছিল ২৫০।

 

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এ অবস্থায় ঢাকার বাতাস পরিশোধনের জন্য পরিবেশগত দিক বিবেচনায় নিয়ে যদি পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঢাকা পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত হবে। এ বিষয় বিবেচনায় নিয়ে যথা পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

 

ডিবিসি/ এইচএপি 

আরও পড়ুন