বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্মৃতিসৌধ যাত্রাকে কেন্দ্র করে ঢাকা টাঙ্গাইল ও চন্দ্রা নবীনগর সড়কের প্রবেশধারের বিভিন্ন স্থানে সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অন্তত ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে ঢাকামুখী হাজার হাজার যাত্রী।
শুক্রবার (২৬শে ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর থেকে চন্দ্রা বাস টার্মিনাল পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীর যানজট আরও প্রখর হয়ে উঠে।
অপরদিকে, সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা -টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই মির্জাপুর থেকে চন্দ্রা বাস টার্মিনাল পর্যন্ত ঢাকামুখী লেনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ধীর ধীরে এই যানজট বৃদ্ধি পেয়ে অন্তত ৩০ কিলোমিটার অতিক্রম করছে। এতে চরম জনদুর্ভোগ দেখা যায় সড়কে।
সরেজমিনে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর বাইপাস এলাকায় দেখা গেছে, উত্তরাঞ্চল থেকে যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো যানজটের নাকালে পড়ে আছে তিন ঘন্টা ধরে। যানজটে নাজেহাল হয়ে অনেক যাত্রীরা জিনিসপত্র নিয়ে পায়ে হেটে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন।
উত্তরাঞ্চল থেকে আসা আব্দুল হাই নামে এক বাসের যাত্রী বলেন, দুই ঘন্টার বেশি সময় ধরে আমি এখানে আটকে আছি। গাড়ি পিপড়ার মতো একটু যায় আবার আধাঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকে। কেন এই যানজট কিছুই বুঝলাম না। দেশে কি আইন শৃঙ্খলা নেই নাকি।
কালিয়াকৈর থানার পাশের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম জানান, আমার ভাতিজির আজ সিজারিয়ান ডেলিভারি করাতে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কালিয়াকৈর থেকে চন্দ্রা গেলে তীব্র জ্যামের সম্মুখীন হই। এসময় তার তীব্র প্রসব ব্যাথা উঠে। একপর্যায়ে গাড়িতেই তার ডেলিভারি হয়ে যায়। পরে অনেক কষ্টে তাকে সফিপুর তানহা হেলথ্ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।
এ ব্যাপারে গাজীপুর রিজিয়নের নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোন করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে গাজীপুর জেলা ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর (টি আই) শাহাবউদ্দিন নের ব্যবহৃত সরকারি ফোন নাম্বারে কল করলেও তার সংযোগ পাওয়া যায়নি।
ডিবিসি/ এইচএপি