বাংলাদেশ, অর্থনীতি

ঢাকা-দিল্লি পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা, উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ২রা মে ২০২৫ ০৯:৪৮:৩১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাড়ছে পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য বিধিনিষেধ। এর ফলে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে ব্যবসায়ীদের কপালে। এমনটাই উঠে এসেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে। বলা হচ্ছে, ঢাকা-দিল্লি সর্ম্পক উন্নত না হলে ক্ষতির মুখে পড়বে দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতি।

গত আগস্টে (২০২৪) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে নির্বাসিত হওয়ার পর থেকে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। এর জেরে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা আসে দুই দেশের বাণিজ্যে। যার মাশুল গুণতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

 

বিবিসির এক প্রতিবেদন বলছে, দেশি শিল্পকে সস্তা আমদানি থেকে রক্ষা করতে গত মাসে ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ। ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করার কয়েকদিন পর এই পদক্ষেপ নেয় ঢাকা। এতে আরও বলা হয়, ভারতের স্থল-আকাশ পথ দিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোতে পণ্য পৌঁছাত এক সপ্তাহে। ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা স্থগিত হওয়ায় সমুদ্রপথে তা লাগবে আট সপ্তাহ। যা বাংলাদেশের বিকাশমান ফ্যাশন রপ্তানি শিল্পের জন্য বড় ধাক্কা।

 

চীন সফরে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের 'চিকেন নেক' নিয়ে  ড. ইউনূসের মন্তব্যের পাশাপাশি, শিলিগুড়ি করিডোরের অদূরে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ১০০ কোটি ডলারের তিস্তা প্রকল্পে চীনের সংশ্লিষ্টতায় উদ্বেগ বেড়েছে দিল্লির।

 

এছাড়া ভিসা সংক্রান্ত নিয়ম-কানুনেও কড়াকড়ি করেছে ভারত। এতে অসন্তোষ বেড়েছে বাংলাদেশে। ফলে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে স্থলপথে বাংলাদেশি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধের দাবি করে ভারতের পোশাক খাত। এদিকে, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই জোরালো হচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সর্ম্পক। বিবিসির ভাষ্যমতে, শেখ হাসিনা তার ১৫ বছরের শাসনামলে পাকিস্তান থেকে নিজেকে দূরে রাখেন।

 

বর্তমানের প্রেক্ষাপটে দুই দেশের সরকারের তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রভাব ফেলছে জনমতেও। বাংলাদেশে বাড়ছে ভারতবিরোধী মনোভাব। বিশ্লেষকরা বলছেন, উভয়পক্ষ শান্ত না থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দুই দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক। 

 

ডিবিসি/ অমিত

আরও পড়ুন