ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নির্বাচনি আমেজ বইছে, তবে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করলেও ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মতো সংগঠনগুলো নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা হলে সবকিছু প্রকাশ করে দেওয়ার কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
শনিবার (২৩শে আগস্ট) অমর একুশে হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সময় ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান অভিযোগ করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসংখ্য ভুয়া আইডি ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি একে 'প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাজনীতি' বলে আখ্যায়িত করেন।
অন্যদিকে, ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ব্যানারে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী মো. আবু সাদিক কায়েম অভিযোগ করেছেন, প্রতিপক্ষরা মেধার যোগ্যতায় পেরে না উঠে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে।
এদিকে, প্রতিরোধ পর্ষদ এবং ডাকসু ফর চেঞ্জ-এর পক্ষ থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের মনোনয়নপত্র বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কালো দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ডাকসু নির্বাচন আয়োজন যেকোনো বিচারেই একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। তিনি বলেন, কেউ যদি নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় তাহলে পরিষ্কার কে কী করেছে সবকিছু বলে দেবো।
নির্বাচনে ভোটদান প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড, হল আইডি কার্ড অথবা লাইব্রেরি কার্ড এই তিনটির যেকোনো একটি পরিচয়পত্রই যথেষ্ট হবে।
এদিকে, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর তা ফিরে পেতে আপিলের শেষ দিনে ৩৪ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
ডিবিসি/এএমটি