বাংলাদেশ, জাতীয়

তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে সজাগ থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

হ্যাপী মাহমুদ

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১২ই নভেম্বর ২০২১ ০১:৫১:১০ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, 'তথ্য-প্রযুক্তি একদিকে যেমন অবারিত সুযোগ এনে দিয়েছে, তেমনি এর অপব্যবহার ও জালিয়াতির কারণে অনেক চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হচ্ছে।'  

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চার দিনব্যাপী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিশ্ব সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

তথ্য-প্রযুক্তির বিনিময় বৈশ্বিক উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি উদ্ভাবন বা আমদানিই যথেষ্ট নয়, বরং এর টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ।'

রাষ্ট্রপতি হামিদ আশা প্রকাশ করে বলেন, 'সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা স্থানীয় টেকসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন, প্রসার এবং ব্যবহারের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি উন্নয়নশীল দেশের মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে ইনশাআল্লাহ।'

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তা, পেশাজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, 'ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অগ্রগামী প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে।'

২০২১ সাল বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি অনন্য ও স্মরণীয় বছর উল্লেখ করে হামিদ বলেন, এ বছর আমরা একই সঙ্গে উদযাপন করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।

রাষ্ট্রপতি বলেন, 'ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। ২০০৯ সালে দেশের মাত্র ৮ লাখ মানুষ ইন্টারনেট সেবা পেতো। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১২ কোটির বেশি। এ সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে চার গুণের বেশি। এ বছরেই পূরণ হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার।'

তিনি বলেন, দূরদর্শী চিন্তা থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান, গবেষণা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভিত্তি রচনা করেছিলেন। তারই উদ্যোগে ১৯৭৩ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আইটিইউর সদস্য পদ লাভ করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে পথ চলা থেমে যায়।

দীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে তথ্য-প্রযুক্তি বিকাশে অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোবাইল ফোনের মনোপলি ভেঙ্গে তা মানুষের কাছে সহজলভ্য করেন।'

ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যার দিক থেকে সারাবিশ্বে আমাদের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশে সাড়ে ৬ লাখ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। ফ্রিল্যান্সারদের পেশাগত উন্নয়নে আইডি কার্ড প্রদান করা হচ্ছে।'

সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ডাক্তার মো. আব্দুল মান্নান, উইটসার চেয়ারম্যান ইয়ানিস সিরোস এবং বিসিএস সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ-উল-মুনীর বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন