জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আজ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ও গণভোট দেশে নতুন রাজনৈতিক ধারা, অর্থবহ সংস্কার ও অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রকে আরও এগিয়ে নেবে বলে তারা আশা করছে।
বৃহস্পতিবার (১১ই ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) তফসিল ঘোষণার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেশ এখন ‘১২ ফেব্রুয়ারির একটি অর্থবহ নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে’।
তিনি বলেন, আমাদের শেষ শর্ত ছিল- গণভোট অবশ্যই ভোটের দিনই হতে হবে। আমরা এ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্যসরকার ও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই।
পাটোয়ারী প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং প্রতি ভোটারে সর্বোচ্চ ১০ টাকা বা প্রার্থীপ্রতি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়সীমা নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি সব প্রার্থীর ক্ষেত্রে এ ব্যয়সীমা কঠোরভাবে প্রয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে বৈষম্যের সুযোগ না থাকে।
ইসি ও সরকারের সদিচ্ছার কথাও উল্লেখ করেন তিনি, তবে নিরপেক্ষতা ও পরিচালন-সক্ষমতা নিয়ে কিছু উদ্বেগের কথাও তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ‘এক নতুন যুগে প্রবেশ করছে’ এবং নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে যে সংস্কার-প্রক্রিয়া বা নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে যে আশঙ্কা ছিল তা সত্য হয়নি।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে জনগণ গণভোট ও সংস্কার পরিষদের মাধ্যমে চলমান সংস্কারকে এগিয়ে নেবে। তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে প্রচারণায় আহ্বান জানান। নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে এনসিপির অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, গণভোট ও সংস্কার পরিষদ, যারা নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবে, এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ায় তাদের প্রধান আপত্তিগুলো দূর হয়েছে।
তিনি জানান, ঘোষিত তফসিলে আপাতত তাদের কোনো আপত্তি নেই; তবে বিস্তারিত পর্যালোচনায় অসঙ্গতি ধরা পড়লে তা জানানো হবে।
সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন কি না- এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত তিনি সরকারে দায়িত্বে থাকায় দল এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি।
ডিবিসি/কেএলডি