বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে সকল অপশক্তি পরাস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
রবিবার (১৪ই ডিসেম্বর) রাজধানীর গেন্ডারিয়ার জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে গেন্ডারিয়া থানা জাসাসের উদ্যোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে চায়; যেখানে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ভয় ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে নাগরিক অধিকার নিয়ে বসবাস করবে।’ তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৭ বছর ধরে বিএনপি রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও সন্ত্রাসের শিকার হলেও আন্দোলন থেকে পিছপা হয়নি।সারা দেশের সকল প্রার্থী ও রাজনৈতিক শক্তিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এই লড়াই কেবল একটি নির্বাচনের জন্য নয়; এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আগামী ৫০ বছরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সংগ্রাম।’
সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই বিএনপি ও ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রার্থীদের লক্ষ্য করে সহিংসতা শুরু হয়েছে।’ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনা এবং এর আগে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী এরশাদুল্লাহর ওপর হামলার বিষয়টি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইশরাক হোসেন দাবি করেন, এসব হামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা জড়িত। সাম্প্রতিক সময়ে ফাঁস হওয়া অডিও বার্তায় হত্যার নির্দেশ ও প্রার্থী টার্গেট করার তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। তিনি এসব ঘটনায় প্রশাসনের গোয়েন্দা ব্যর্থতা ও সদিচ্ছার অভাবের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বর্তমান সরকারকে অবিলম্বে সব ধরনের হুমকি চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ইশরাক বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে এবং রাজনৈতিকভাবে তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। যারা আবার ক্ষমতায় ফিরে এসে দেশের স্বাধীনতা বিক্রি করতে চায়, তাদের ষড়যন্ত্র জনগণের সামনে স্পষ্ট।’
ডিবিসি/কেএলডি