উজানের ঢল এবং ভারি বর্ষণের কারণে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে নদীর তীরবর্তী ২০টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
গতকাল বুধবার সকাল থেকেই তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে এবং বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। দিনভর পানি বিপদসীমার উপরে থাকার পর রাতে তা আরও বৃদ্ধি পায়।
বন্যার পানিতে জেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ কাঁচা-পাকা রাস্তা, ফসলের মাঠ এবং সবজি খেত তলিয়ে গেছে। অনেক পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পানিবন্দি এলাকার মানুষ তাদের গবাদি পশু নিয়ে বিভিন্ন বাঁধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন।
পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তা ব্যারাজের ভাটিতে থাকা হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুরনা, ডাউয়াবাড়ী, পাটিকাপাড়া; কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী; আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ও রাজপুর ইউনিয়নের প্রায় ২০টি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কর্তৃপক্ষ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটই খুলে দিয়েছে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ডিবিসি/এনএসএফ