লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা গত রাতের চেয়ে ৩ সেন্টিমিটার কম। উজানের ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার পানি কমতে শুরু করায় জেলার নিম্নাঞ্চলের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট থেকে পানি নামতে শুরু করলেও কৃষকের রোপা আমন ক্ষেত ও বীজতলা এখনও ডুবে আছে।
আজ সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচে। এর আগে, গত রাতে এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত মঙ্গলবার রাতে উজানের ঢলে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের তিস্তাতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বিকাল থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করে এবং আজ পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। বেশিরভাগ এলাকা থেকে পানি নেমে গেলেও কিছু স্থানে এখনও জলাবদ্ধতা রয়েছে। বিশেষ করে সদর উপজেলার গোকুন্ডা, আদিতমারী উপজেলার গোবর্ধন এবং হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ও পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এদিকে, তিস্তায় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটই খুলে রাখা হয়েছে। আকস্মিক এই বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। অনেকের ধানের বীজতলা ও সদ্য রোপণ করা আমন ধান পানিতে ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যার্তদের তাৎক্ষণিক সহায়তার জন্য ১০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আরও সহায়তার প্রয়োজন হলে তা দ্রুত সরবরাহ করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
ডিবিসি/এনএসএফ