রবিবার (১০ই আগস্ট) সন্ধ্যায় পশ্চিম তুরস্ক একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.১। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল সিনদিরগি শহরে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়ে এবং এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর কম্পন প্রায় ১২০ মাইল দূরের ইস্তাম্বুলেও অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের পর আতঙ্কিত হয়ে বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে। ধারাবাহিক আফটারশকের (পরাঘাত) কারণে অনেকেই বাইরে অবস্থান করছেন। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া জানান, এই দুর্যোগে ৮১ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছেন। কেন্দ্রস্থল সিনদিরগি শহর ও তার আশেপাশের গ্রামগুলিতে ১৬টি ভবন ধসে পড়েছে, যার মধ্যে ১২টিই ছিল খালি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, সিনদিরগিতে একটি ধসে পড়া ভবন থেকে ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়, কিন্তু তাদের মধ্যে ৮১ বছর বয়সী ব্যক্তিটি পরে মারা যান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সামান্য আঘাতের জন্য চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কর্তৃপক্ষ অনিরাপদ ভবন এড়িয়ে চলার জন্য জনগণকে সতর্ক করেছে। তবে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়নি বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, তুরস্ক বেশ কয়েকটি প্রধান ফল্ট লাইনের উপর অবস্থিত হওয়ায় এখানে প্রায়ই শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। ২০২৩ সালে একটি ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প এবং তার পরবর্তী আফটারশকগুলিতে তুরস্কের ১১টি পূর্বাঞ্চলীয় এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহরে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং প্রতিবেশী সিরিয়ায় প্রায় ৬ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরেই তুরস্কে নিম্নমানের নির্মাণ এবং আধুনিক দুর্যোগ প্রতিরোধ ছাড়া তৈরি পুরোনো ভবনের কারণে ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করে আসছেন।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
ডিবিসি/এমএআর