শনিবার বিকেলে কালীঘাটের বাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের জরুরি বৈঠক ডাকেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন তিনি।
সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তৃণমূলে সমস্ত শীর্ষপদের আপাতত অবলুপ্তি ঘটানো হয়। অবলুপ্তি ঘটালেন স্বয়ং মমতাই! বদলে গড়া হয়েছে ২০ জনের জাতীয় কমিটি। যারা দলের কাজ দেখাশোনা করবেন। কমিটির শীর্ষে রয়েছেন মমতা নিজেই।
শনিবার কালীঘাটে মমতার ডাকা দলের বৈঠকের পর তৃণমূলের নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এসব কথা জানিয়েছেন। পার্থ অবশ্য সরাসরি ‘শীর্ষপদের অবলুপ্তি’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করেননি। তিনি বলেছেন, ‘‘জাতীয় কর্মসমিতি ঘোষিত হল। এর পর পদাধিকারীদের নাম নেত্রী ঘোষণা করবেন।’’
যার অর্থ, পার্থ নিজে যেমন দলের মহাসচিব থাকলেন না, তেমনই রাজ্য সভাপতি থাকলেন না সুব্রত বক্সি। আবার একই ভাবে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক থাকলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে অভিষেককে অন্যদের সঙ্গেই জাতীয় কমিটিতে রাখা হয়েছে। কাকে কোন পদ দেওয়া হবে, তা পরে স্থির করবেন মমতা স্বয়ং। সেই কমিটি এবং পদাধিকারীদের নাম যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে।
পার্থের কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী হওয়ার পর চার-পাঁচ জনের নাম বলেছিলেন। বলেছিলেন, তাঁরা আপাতত কাজ চালাবেন। তাঁদের উনি ডেকেছিলেন। তাঁরই নেতৃত্বে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হল। পদাধিকারী যাঁরা হবেন, সে তালিকা তিনি অতি শীঘ্রই মনোনীত করবেন। এবং তা জাতীয় নির্বাচন কমিশনে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
কেন এমন পদক্ষেপ নিলেন মমতা?
তৃণমূলের একাধিক নেতার ব্যাখ্যা, দলের ভেতরে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি নিয়ে যে বিরোধ এবং বিতর্ক চলছিল, তার জেরে অভিষেক তাঁর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ ছেড়ে দিতে পারেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠেরা ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। সেই কারণেই মমতা এক ধাক্কায় সমস্ত পদের অবলুপ্তি ঘটালেন। অর্থাৎ, কারও পদই যদি না থাকে, তা হলে তিনি পদত্যাগ করবেন কী করে!