মাদারীপুরে ‘হিজড়া’ বানাতে ১৭ বছরের এক কিশোরের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে হিজড়াদের একটি দলের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৪ঠা এপ্রিল) এই ঘটনায় আহত মাদ্রাসাছাত্রকে দুপুরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছে তার পরিবার। ভুক্তভোগী মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চর গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দার ছেলে। ভুক্তভোগী কিশোর একজন মাদ্রাসাছাত্র।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার রিয়াদ মাহমুদ।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার খলিল নপ্তীর ছেলে ভ্যানচালক নুরু নপ্তীর সাথে সখ্যতা ছিল ভুক্তভোগী ওই কিশোরের। নুরু নপ্তীর ভ্যানে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করত মাদারীপুরের মঠেরবাজার এলাকার জুঁই হিজড়া ও তার দলবল। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে ভুক্তভোগীকে জুঁই হিজড়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন নুরু।
গত বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীকে চিকিৎসার কথা বলে জুঁই হিজরা নুরু নপ্তীকে দিয়ে খুলনা জেলার একটি হাসপাতালে পাঠান। পরবর্তী সময়ে সেখানে নিয়ে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক অচেতন করে তার যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়। ঘটনার পরে ভুক্তভোগী মাদ্রাসাছাত্রের জ্ঞান ফিরলে বাসায় যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করেন। শুক্রবার বিকালে নুরু নপ্তী তাকে মাদারীপুর শহরের পানিছত্র এলাকায় ফেলে পালিয়ে যান।
ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমাকে চিকিৎসার নাম করে নুরু নপ্তী ও জুঁই হিজড়া এই সর্বনাশ করছে। আমাকে হিজড়া বানাতে ওদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র আমার যৌনাঙ্গ কেটে ফেলেছে। আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে। আমার মতো আর কোনো ভাইয়ের যেন এমন ক্ষতি না হয়। প্রশাসনের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’
এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জুই হিজড়া ও নুরু নপ্তী পলাতক রয়েছেন।
মাদারীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপংকর রোয়াজা বলেন, ‘ঘটনা শুনে পুলিশ হাসপাতালে পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’