থাইল্যান্ডে ফেরির ডেকে দাঁড়িয়ে মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার সময় পর্যটকরা হঠাৎ দেখেন সাগরের পানিতে ভেসে যাচ্ছে তাদেরই লাগেজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে এই দৃশ্য দেখে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ নভেম্বর, যখন একদল বিদেশি পর্যটক কোহ তাও থেকে কোহ সামুই যাচ্ছিলেন। ফেরি চলাকালীন যাত্রীরা যখন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখছিলেন, তখনই তারা আতঙ্কিত হয়ে দেখেন তাদের সুটকেসগুলো একে একে সাগরে ভেসে যাচ্ছে।
তদন্তে জানা গেছে, ফেরির কর্মীরা যাত্রীদের লাগেজগুলো ওপরের ডেকে রাখলেও সেগুলো ঠিকমতো বাঁধেননি বা সুরক্ষিত করেননি। সমুদ্র উত্তাল থাকায় এবং ঢেউয়ের ধাক্কায় আলগা ব্যাগগুলো পানিতে পড়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ান পর্যটক অ্যালিস জাম্পারেলি এই ঘটনার ভিডিও অনলাইনে পোস্ট করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, সাগরের পানিতে ভাসছে একের পর এক সুটকেস। তিনি অভিযোগ করেন, কর্মীদের অদক্ষতার কারণেই তাদের সব লাগেজ হারিয়েছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কেবিনের ভেতর থেকে যাত্রীরা জানলা দিয়ে তাদের জিনিসপত্র ভেসে যেতে দেখে হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন।
ঘটনার পর ফেরিটি জরুরি ভিত্তিতে থামানো হয়। ভাসমান কিছু লাগেজ উদ্ধার করতে ফেরির কর্মী ও স্পিডবোট ব্যবহার করা হয়। অ্যালিস জাম্পারেলি জানান, ক্ষতিপূরণের জন্য তাকে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা লড়াই করতে হয়েছে। শেষপর্যন্ত তিনি ৫০,০০০ থাই বাথ (প্রায় ১,৫০০ মার্কিন ডলার) ক্ষতিপূরণ পান।
ফেরি কর্তৃপক্ষ ও কোম্পানি দাবি করেছিল প্রতিটি ব্যাগের মূল্য ২০,০০০ বাথের বেশি নয় এবং তারা এর বেশি দিতে রাজি ছিল না, যদিও অ্যালিসের দাবি অনুযায়ী প্রতিটি সুটকেসের মূল্য ছিল অন্তত ১,০০,০০০ বাথ। তিনি আরও জানান, অনেক যাত্রী কোনো ক্ষতিপূরণই পাননি এবং কেউ কেউ তাদের ফ্লাইটও মিস করেছেন।
নরমান নামের আরেক যাত্রী পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে বলেন, সমুদ্র এতটাই উত্তাল ছিল যে নৌকার পুরো সামনের অংশ পানিতে তলিয়ে যাচ্ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
কেউ কেউ সমুদ্রের এই ভয়ানক রূপ দেখে ভয় পেয়েছেন, আবার কেউ সাগরে প্লাস্টিক ও কাপড় মিশে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
ডিবিসি/এনএসএফ