দেখতে অনেকটা আঙুরের মতো। কেউ কেউ আবার দূর থেকে জাম বলেও ভুল করে থাকেন। ফলটির আসল নাম জাবাটিকাবা বা জাবুটিকাবা। ওষুধিগুণ সম্পন্ন দক্ষিণ আমেরিকার ফলটি এখন উৎপাদন হচ্ছে বাংলাদেশে।
অপরিপক্ক জাবুটিকাবা ফলের রং থাকে সবুজ। পরিপক্ক হয়ে গেলে হয়ে ওঠে বেগুনী। খাওয়ার যোগ্য হতে সময় লাগে এক থেকে দেড় মাস। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা কৃষি উদ্যানে চাষ হচ্ছে এই ফল।
চলতি মৌসুমে ২০০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে ৫ শ'রও বেশি জাবুটিকাবার চারা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সৌখিন চাষিরা নতুন এই ফলের চারা কিনছেন। ফলটি খেতে খুবই সুস্বাদু বলে জানান তারা।
এরই মধ্যে চারটি গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ৬০ কেজি ফল।
বিএডিসি উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্রের উপ-পরিচালক আসিফ ইকবাল ছাকী বলেন, 'এ আবহাওয়ায় এ ফলটি খুব সুন্দর ভাবে মিশে গেছে। কোনো গাছ মারা গেছে বা রোগে আক্রান্ত হয়েছে এমন কোনো তথ্য আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। কোনো প্রকার ওষুধ ব্যবহার করা লাগেনা। সম্পূর্ণ নিরাপদ একটি ফল। যে সময় আমাদের দেশীয় ফল নাই, সে সময় এই ফল হচ্ছে। এতে করে বাংলাদেশে একট বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। সেই অঙ্গিকারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।'
ছায়ায় বেড়ে উঠা এই গাছের ফল ত্বক ও টনসিলের মতো অসুখ সারাতে সহায়ক বলে জানান বিএডিসির কর্মকর্তা।
বিএডিসি উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্রের উপসহকারী পরিচালক মিতু আক্তার বলেন, 'স্বাদ অনেকটা লটকণ ফলের মতো। অনেক রসালো এবং মিষ্টি। এত অনেক ঔষধি গুণও আছে।'
একটি প্রাপ্তবয়স্ক জাবুটিকাবা গাছ ১০ থেকে ১৫ মিটার উঁচু হয়। জানুয়ারিতে গাছে ফুল আসে, মার্চে ফল পাকা শুরু হয়। একেকটি গাছ থেকে ৫০ থেকে ৬০ কেজি ফল পাওয়া যায়।