দেশে নারীর উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অনেক কাজ হলেও এখনো কমেনি বাল্যবিয়ের হার। আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বাল্যবিয়ে হয় এমন দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে কমপক্ষে ৪০ শতাংশের বেশি কন্যাশিশুকে ১৮ বছরের আগেই বাল্যবিয়ের শিকার হতে হয়। আইনের কঠোর বাস্তবায়ন না থাকলে বাল্যবিয়ে রোধ করা সম্ভব নয়।
তারা বলছেন, বাংলাদেশের মতো দরিদ্রপ্রবণ দেশগুলোতে হরহামেশায় এমন চিত্র দেখা যায়। তেমনই পটুয়াখালীর এক কিশোরীর জীবনের কঠিন বাস্তবতা আমরা দেখতে পাই। লেখাপড়া শিখে অনেক বড় হবার ইচ্ছে থাকলেও পটুয়াখালীর অষ্টম শ্রেণিতে পড়া কিশোরীকে যেতে হয় শ্বশুরবাড়ি।
অভিভাবকরা বলছেন, শারিরীক পরিবর্তন দ্রুত হওয়ায় অল্প বয়সেই বিয়ে দেয়া হয় মেয়েদের। লোনা পানির কারণে শারিরীক নানা সমস্যার শিকার হতে হয়েছিল সাতক্ষীরার এই কিশোরীকে। সে কারণে তাকেও বাল্যবিয়ে দেয় তার অভিভাবকরা।
চলতি বছরের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে প্রকাশিত প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ১৮ বছর হবার আগেই ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ নারীর বিয়ে হয়েছে। যেখানে মা হয়েছেন ২৪ শতাংশ নারী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৩ সালের প্রতিবেদন বলছে, ৪১.৬ শতাংশ কন্যাশিশু বাল্য বিয়ের শিকার হয়। যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, উপকুলীয় এলাকায় এ সংখ্যা অনেকটাই এগিয়ে। ঝুকিঁ বাড়াচ্ছে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যায়।
এ ক্ষেত্রে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৮ এর লঙ্ঘন হচ্ছে অহরহ। দুই একটিতে বিয়ে প্রতিহত করা গেলেও চুপিসারে আবার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে অন্য জায়গায়।বাল্যবিয়ে বিয়ে প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনকে ভুমিকা পালনেরও পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ডিবিসি/রাসেল