দম্পতিদেরকে গ্রিন কার্ড দেয়ার নিয়ম কঠিন করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিবাহ-ভিত্তিক অভিবাসন ভিসার আবেদন এখন থেকে আরও কঠিন ও কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে যাবে। দেশটির নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সেবা সংস্থা (ইউএসসিআইএস) এই নতুন নির্দেশনা জারি করেছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো বিয়ের নামে জালিয়াতি রোধ করা এবং কেবল প্রকৃত দম্পতিদেরই গ্রিন কার্ডের অনুমোদন নিশ্চিত করা।
ইউএসসিআইএস এক বিবৃতিতে বলেছে যে, মিথ্যা বা ভিত্তিহীন পারিবারিক ভিসার আবেদন যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসের সুযোগের প্রতি আস্থা কমিয়ে দেয় এবং পারিবারিক ঐক্যের ধারণাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তারা আমেরিকানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ক্ষতিকর উদ্দেশ্য নিয়ে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায় গুরুত্বারোপ করেছে।
নতুন এই নীতিমালায় আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া আরও উন্নত করা হয়েছে। এখন থেকে বৈবাহিক সম্পর্কের সত্যতা প্রমাণের জন্য বেশ কিছু নথি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে রয়েছে যুগল ছবি, যৌথ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো আর্থিক নথি এবং বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের দেওয়া ঘোষণাপত্র।এছাড়া, আবেদনকারী দম্পতিদের সশরীরে সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যেখানে তাদের সম্পর্কের বাস্তবতা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা হবে।
ইউএসসিআইএস স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, আবেদন অনুমোদন পেলেও যদি কোনো আবেদনকারী অন্য কোনো কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অযোগ্য হন বা তাকে বহিষ্কারের যোগ্য বলে মনে করা হয়, তবে তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। অর্থাৎ, গ্রিন কার্ডের আবেদন মঞ্জুর হওয়াই যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার নিশ্চয়তা নয়।
সংস্থাটি আরও জানায়, যদি কোনো মার্কিন নাগরিক অন্য কোনো দেশের নাগরিককে স্পন্সর করেন, তবে তাদের সম্পর্কের সত্যতা প্রমাণে অত্যন্ত শক্ত প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে। এর মধ্যে থাকবে যৌথ আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ, ছবি এবং আত্মীয়-স্বজনদের দেওয়া চিঠি। যদি কোনো পর্যায়ে সন্দেহজনক কিছু, যেমন একই ব্যক্তির একাধিক স্পন্সরশিপ বা অভিবাসন ইতিহাসে গরমিল পাওয়া যায়, তবে তা গভীর তদন্তের মুখে পড়বে এবং এমনকি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের কারণ হতে পারে। নতুন ও পুরোনো সকল আবেদনই এই নতুন নিয়মের আওতায় পড়বে।
ডিবিসি/এফএইচআর