সংস্কার নিয়ে আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি নেই। আগের নিয়মেই নাকি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন- এ নিয়েও বিপরীত অবস্থানে দলগুলো। এমন নানা ইস্যুতে দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানে নির্বাচন নিয়ে আবারও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে কি-না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমন জটিল পরিস্থিতির জন্য সংস্কার নিয়ে সরকারের উচ্চাকাঙ্খাকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, সংস্কারে যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তাকে একটি রূপ দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা জরুরি। অন্যথায় রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ার শঙ্কা রাজনীতি বিশ্লেষকদের।
নতুন নতুন ইস্যু, মত-দ্বিমত, হতাশা আর বিরোধিতা- এমন নানা জটিলতায় ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের রাজনীতি। এতে বাড়ছে সংশয়, সন্দেহ আর অনিশ্চয়তা।
লন্ডন বৈঠকের পর ফেব্রুয়ারি ধরে যখন নির্বাচনি ডামাডোল বাজতে শুরু করেছে, তখনই এ নিয়ে উলটো হতাশার সুর চারপাশে। প্রশ্ন উঠছে, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে কিনা? সন্দেহ দানা বাঁধছে আদৌ নির্বাচন হবে কি-না, তা নিয়েও।
এর মধ্যেও সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জোর দাবি তুলেছে কিছু দল। আবার এ নিয়ে নানা আশঙ্কা করে বিরোধিতাও করছে বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দল। আর সংস্কার ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠকেও ঐকমত্যের প্রশ্নে বাড়ছে হতাশা।
নির্বাচন নিয়ে এই সন্দেহ, ধোঁয়াশা আর অনিশ্চয়তার জন্য সরকারের উচ্চাকাঙ্খাকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। যতো দ্রুত সম্ভব, নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ তাদের। সংস্কার, ভোটের পদ্ধতিসহ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে অংশীজনদের এক কাতারে আসার পরামর্শ রাজনীতি বিশ্লেষকদের।
ডিবিসি/ এইচএপি