বাংলাদেশ, বিশেষ প্রতিবেদন

দু'দিন পার হলেও শুরু হয়নি চালকদের ডোপ টেস্ট

Tanjia Khanam Borshon

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:১৩:২৪ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিআরটিএ ৩০শে জানুয়ারি থেকে পেশাদার মোটরযান চালকদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করলেও রাজধানীতে নির্ধারিত ছয়টি হাসপাতালের ৫টিতেই চালু হয়নি এ ব্যবস্থা। বিআরটিএ'র চেয়ারম্যান বলছেন, খুব শিগগিরই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে। আর সঠিকভাবে চালকদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনা গেলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে আসবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

সড়কে যানবাহনের বেপরোয়া গতির চিত্র হরহামেশায় দেখা যায়। এর ফলে সড়কে প্রতিদিনই ঘটছে দূর্ঘটনা, হচ্ছে মৃত্যু। এসব দুর্ঘটনার বড় কারণ, মাদক সেবন করে গাড়ি চালানো- এমনটাই জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

এ অবস্থার লাগাম টানতে চালক মাদকাসক্ত কিনা তা জানতে ১৩ই জানুয়ারি ডোপ টেস্ট চালু সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ। যেখানে বলা হয়, ডোপ টেস্ট ছাড়া কোনও পেশাদার চালক লাইসেন্স পাবেন না। নবায়ন করতে লাগবে ডোপ টেস্টের সনদ। এবং এর জন্য চালকদের গুনতে হবে ৯০০ টাকা।

এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে ঢাকায় ৬টি হাসপাতালকে ডোপ টেস্টের জন্য নির্ধারণ করে দেয় বিআরটিএ। কথা ছিল রবিবার থেকে এসব হাসপাতালে টেস্ট করতে পারবেন চালকরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত চালু করাই সম্ভব হয়নি এই ব্যবস্থা।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, ডোপ টেস্ট চালু করার জন্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগযোগ করেছি। চালু করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। হয়তো কয়েকদিন সময় লাগবে। সামনের সপ্তাহের মধ্যে আশা করি চালু হয়ে যাবে।

শিগগিরই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে, বলছেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। তিনি জানান, এটা সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিষয়। ডিজি মহোদয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। এখন ডোপ টেস্ট রেগুলার হবে।

সড়ক যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক প্রক্রিয়ায় চালকদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনা গেলে অনেকাংশেই কমে আসবে সড়ক দুর্ঘটনা।

বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, কেস স্টাডি এবং তদন্ত করলে দেখা যায় যে, গাড়ি উল্টে পড়ে যাওয়া বা চালকদের ঘুম ঘুম ক্লান্তির পিছনে বড় একটা কারণ থাকে মাদকাসক্তি। সেক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট ভালো একটা উদ্যোগ। কিন্তু এখন দেখতে হবে ডোপ টেস্ট প্রক্রিয়া যাতে সঠিকভাবে হয়। কোন কোন হাসপাতালে ডোপ টেস্ট করা হবে সেটার সঠিক বার্তা যেন চালকরা পায়। এবং টেস্টের ফলাফল যেন সঠিকভাবে হয় সেটা নির্ধারণ করতে হবে।

যারা এরইমধ্যে লাইসেন্স পেয়েছেন তাদেরও পর্যায়ক্রমে ডোপ টেস্টের আওতায় আনার পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের।

আরও পড়ুন