দুধ ও শিশু ফর্মুলার সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাজার অনেক মা এখন তাদের শিশুদের দুধের বদলে শুধু পানি খাওয়াতে বাধ্য হচ্ছেন। ইসরায়েলের কঠোর অবরোধে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা এখন এক নীরব দুর্ভিক্ষের সাক্ষী।
জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা গাজার পরিস্থিতিকে ‘দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যেখানে জীবনের স্পন্দন শুরু হওয়ার কথা, সেখানে এখন মৃত্যুর হাতছানি। শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্যের অভাব এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের ক্ষেত্রে ইসরায়েলি বাধার কারণে উপত্যকায় শিশু মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলেছে। মায়ের দুধ বা অন্যান্য শিশু খাদ্য সেখানে এখন দুষ্প্রাপ্য বস্তু। ফলে শিশুদেরকে পানি শুধু পানি খাওয়াতে বাধ্য হচ্ছেন এসব মায়েরা।
মানবাধিকার সংস্থা এবং স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষকদের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অনাহার এবং মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগে ৮৮ জনেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বাস্তবে এই সংখ্যা আরও বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যে শিশুরা বেঁচে আছে, তারাও তীব্র অপুষ্টির শিকার। জাতিসংঘের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গাজার নবজাতক শিশুরাই এই দুর্ভিক্ষের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় যে নির্বিচার হামলা শুরু করেছিল, তা ৬৬২ দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে। মাত্র যঙ মাসেই ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে খুন করেছে ইসরায়েল, যার মধ্যে একটি বড় অংশই নারী ও শিশু। অর্থাৎ, প্রতিদিন গড়ে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া, আহত হয়েছেন প্রায় দেড় লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।
ডিবিসি/এফএইচআর