পাঁচ বছর দায়িত্ব থাকাকালীন জরিমানার নামে অর্থ আদায়, জমি বরাদ্দে অনিয়ম, বাজার, বাস স্ট্যান্ড ইজারার টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ নানা দুর্নীতিতে ডুবে ছিলেন বরিশালের সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। আর তার দুর্নীতির অর্থ আদায়ে ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে ছিলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ছয় নেতা। সাদিকের এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতেই চলছে অডিট।
আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে ২০১৮ সালে একতরফা জয় পান সাদিক। এরপর ৫ বছর পদে থাকার সুবিধা আদায় করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নকশাবহির্ভূত বহুতল ভবন থেকে জরিমানার নামে চাঁদাবাজি, হাউজিং-এ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে জমি বরাদ্দ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ। নগরীর ১৭টি বাজার এবং ২টি বাসস্ট্যান্ড নামমাত্র টাকায় ইজারাই কেবল দিয়েছেন তা-ই নয়। ইজারার প্রায় ১৩ কোটি টাকা পায়নি সিটি করপোরশনে। এমনকি বরিশাল ক্লাব দখল করে সেখান থেকেও কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
সাদিকের চাঁদাবাজির টাকা উত্তোলনে ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহমেদ মান্না ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক নীরব হোসেন টুটুল, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত, রাজিব হোসেন খান ও আতিকুল্লাহ মুনিম এবং মহানগর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ মান্না। সাদিকদের আজ্ঞাবহ ক্যাশিয়ারদের মাধ্যমে ৫২টি খাত থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাতের অভিযোগ করলেন সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা। সেই অনিয়মের বিচার চাইলেন মেয়র নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বি ডা. মনিষা।
সাবেক সিটি মেয়র সাদিকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি স্বীকার করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন, অডিট প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লুটপাট ও দুর্নীতিতে শুধু সাদিক নয়, মেতেছিলেন তার স্ত্রী, শ্যালকসহ দলীয় অনুসারীরাও। ৫ই আগস্টের পর সবাই এখন পলাতক।
ডিবিসি/আরএসএল