জাতীয়, অর্থনীতি

দৃশ্যমান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন, যুক্ত হবে ২৭টি দেশের রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:২৯:০৭ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন সার্ভিস দৃশ্যমান হতে চলেছে। এরই মধ্যে বসানো হয়ে গেছে প্রায় ৭ কিলোমিটার রেললাইন।

চট্টগ্রাম নগরী থেকে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পর্যন্ত আগে থেকেই রয়েছে রেললাইন। সেই রেল লাইন এখন সম্প্রসারিত হচ্ছে কক্সবাজার পর্যন্ত। প্রকল্পের অনুমোদনের এক বছর পর শুরু হয় দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার, রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার এবং রামু থেকে ঘুমধুম মিয়ানমার সীমান্ত পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ। ২০১৯ সাল থেকে কাজ শুরুর পর এখন পর্যন্ত শেষ হয়েছে ৬২ শতাংশ।

১২৮ কিলোমিটার এই রেললাইনে থাকবে ৯টি স্টেশন। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার যেতে সময় লাগবে ১ ঘন্টা ১০ মিনিট।

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে হচ্ছে ঝিনুক আকৃতির আইকনিক স্টেশন। সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর ওপর হচ্ছে তিনটি বড় সেতু। সাতকানিয়ার কেঁওচিয়ায় নির্মাণ হচ্ছে উড়াল সেতু।

রামু থেকে মিয়ানমার-সীমান্ত ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ ট্রান্স এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে। যা মিয়ানমার-বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান-ইরান হয়ে যাবে ইউরোপের তুরস্ক পর্যন্ত। আর তাতে বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, এই পথে রেল চলাচল শুরু হলে পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে অর্থ এবং সময় দু'টিরই সাশ্রয় হবে। একইসঙ্গে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

২০২৩ সালের জুনের মধ্যে দেশের রেলওয়ে নেটওয়ার্কে এই রেলপথ যুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারের নিজস্ব এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৫ কোটি টাকা।

২০২৩ সালের মধ্যেই দেশের রেলওয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে নতুন এই রেলপথ। এই রেলপথ চালুর পর আন্তর্জাতিক করিডোরে পরিণত হবে এই রুটটি। এছাড়া পর্যটন নগরী কক্সবাজার ও নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগের পথ অনেকটা সুগম হবে।

আরও পড়ুন