জাতীয়, বিশেষ প্রতিবেদন

দেশের বিচার বিভাগ এগিয়ে নিতে সব সময় আন্তরিক শেখ হাসিনা

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:৪৩:৫০ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

দেশীয় বিদেশী বাধা সব ষড়যন্ত্র পেছনে ফেলে বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিতে সব সময় আন্তরিক ছিলেন শেখ হাসিনা।

সপরিবারে স্বাধীন বাংলার স্থপতি জাতির পিতা হত্যা, কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যা। সংসদে আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার নিষিদ্ধ। সেই কালো আইন বাতিল পরে বিচারের মধ্যে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা। দেশি বিদেশি প্রবল বাধা উপেক্ষা করে যুদ্ধপরাধীদের বিচার করা। সব কিছুতেই দেখা গেছে দৃঢ়চেতা শেখ হাসিনাকে। তবে পারি দিতে হয়েছে বন্ধুর পথ।

স্বাধীনতার মাত্র চার বছর। ইতিহাসের বর্বোরচিত অধ্যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা। স্বাধীনতার স্থপতিকে হত্যা কিন্তু বিচার করা যাবে না। এজন্য আইনও করা হয়। রুদ্ধ সব পথ, উল্টো পথে বাংলাদেশ। 

প্রবাস জীবন-দেশে ফেরা রাজপথ আন্দোলন ২১ বছর পর রাষ্ট্রক্ষমতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা। বাতিল করা হয় কালো আইন, বিচারের পথ উন্মুক্ত করেন শেখ হাসিনা। বিচারের সব ধাপ শেষে পাঁচ খুনির ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করতেও অপেক্ষা করতে হয় লম্বা সময়। কলঙ্কমুক্ত হয় বাংলাদেশ। 

২০১৩ সালের ৩০শে এপ্রিল জাতীয় চার নেতার জেল হত্যার বিচারে দায় মুক্ত হয় জাতি। 

মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার। বঙ্গবন্ধুর হত্যার কারণে থমকে যায় সে প্রক্রিয়াও। বিচারের কাঠগড়ার পরিবর্তে রাজাকার আলবদররা বসে রাষ্ট্রক্ষমতায়। শুধু রাজনীতি নয় অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে গভীর শেকড় গজায় তাদের। 

আলাদা ট্রাইবুন্যালে বিচারের আওতায় আসে গোলম আজম-নিজামী সাঈদী মুজাহিদরা। দেশীয় বিদেশী বাধা সব ষড়যন্ত্র পেছনে ফেলে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে আবারো দেখা যায় দৃঢ়চেতা সাহসী শেখ হাসিনাকে।  

এছাড়া বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইশেন করা। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিচারক ও আদালতের সংখ্যাবৃদ্ধি করে বিচার বিভাগকে গতিশীল করা। হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে প্রথম নারী বিচারপতি শেখ হাসিনার হাত ধরেই নিয়োগ পান। 

মাসদার হোসেন মামলার মধ্য দিয়ে ২০০৭ সালে দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন হলেও তা বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার অবদান রয়েছে। বিশেষ বিচারিক আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, শৃংখলা রক্ষায় শেখ হাসিনা সরকারের যুগপোযোগী পদক্ষেপ। বিচারপতি ও বিচারকদের জন্য করেছেন আলাদা বেতন স্কেল।

করোনাকালে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের বিচার বিভাগ বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ছিলো সচল। ভার্চুয়ালি নিয়মিত চলছে বিচার কাজ। সেটিও শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও নেতৃত্বের সফলতা। গত বছরের ৯ই মে আদালতে তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার আইন পাস করা হয়। বর্তমান প্রধান বিচারপতি এই সিদ্ধান্তকে বিচার বিভাগের জন্য যুগান্তকারি বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। 

বর্তমান সরকারের আমলেই প্রথম বারের মতো দেশে  প্রতি বছর ১৮ই ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্ট দিবস পালন করা হয়।  

এছাড়া, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার রায়, ফেনীর নুসরাত হত্যা মামলার রায়, রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলায় জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকরও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সফল দিক।  

নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধসহ সামাজিক সুরক্ষার জন্য বেশ কিছু সময়পোযোগী আইনও হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই।

আরও পড়ুন