অনুদান পায় না এমন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাও এখন সরকারি বেতন কাঠামোর (এমপিও) অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। পাশাপাশি এসব মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও সরকারি উপবৃত্তির আওতায় আসবে।
বুধবার (২রা জুলাই) শিক্ষা উপদেষ্টা অনুদানবিহীন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিদের সাথে এক বৈঠকে এই আশ্বাস দেন।
এদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে শিক্ষকরা প্রথমে ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা স্থাপন, স্বীকৃতি, জনবল কাঠামো ও এমপিও সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৫’ অনুমোদন দেওয়ায় উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।
তবে, পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব রেজাউল হক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, একটি বৈষম্য দূর করতে গিয়ে যেন আরেকটি বড় বৈষম্যের সৃষ্টি না হয়। তিনি বলেন, “১৯৯৪ সালে একটি শর্তের কারণে প্রায় ১৮ হাজার মাদ্রাসার মধ্যে মাত্র ১৫১৯টি প্রতিষ্ঠান অনুদানের আওতায় আসে। এই শর্তের বেড়াজালে হাজার হাজার মাদ্রাসা ও শিক্ষক বৈষম্যের শিকার, যা আজও চলমান।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সম্প্রতি এমপিওভুক্তির জন্য যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, সেখানে শুধু অনুদানপ্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলো আবেদন করতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়, যা বৈষম্যকে আরও তীব্র করবে। এই বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে শিক্ষক ঐক্য পরিষদ গত ১৯শে মে থেকে ২৬শে মে পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ছয় দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করে।
সেই স্মারকলিপির প্রেক্ষিতেই আজকের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন এবং সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে এমপিও আবেদন এবং শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আওতায় আনার বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। বৈঠকে শিক্ষক নেতারা তাদের ছয় দফা দাবি পুনরায় তুলে ধরেন। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন, সদস্য সচিব রেজাউল হক, শহিদুল ইসলাম সাদ্দাম, ওমর ফারুক আকন্দ।
ডিবিসি/এএনটি