দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা আবারও বাড়তে শুরু করেছে, যা জনমনে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শনাক্তের হার কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও, মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় স্বাস্থ্যখাতে নতুন করে চাপ বাড়ছে।
রবিবার (২২শে জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা চলতি মাসে দৈনিক মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসটির নতুন উপধরন এবং অনেকের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে উদাসীনতা এই মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হওয়ার অন্যতম কারণ। বিশেষ করে, যাদের আগে থেকেই বিভিন্ন জটিল রোগ (কো-মর্বিডিটি) রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউতে রোগীর চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। অনেক হাসপাতালেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের শয্যা প্রায় পূর্ণ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেরিতে হাসপাতালে আসা এবং ভাইরাসের প্রাথমিক উপসর্গকে অবহেলা করার কারণে রোগীদের অবস্থা দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে, যা শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃত্যুর এই ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় শুধুমাত্র হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়ালেই চলবে না, বরং করোনা প্রতিরোধে সর্বাত্মক জোর দিতে হবে। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং নিয়মিত হাত ধোয়ার মতো মৌলিক স্বাস্থ্যবিধিগুলো কঠোরভাবে পালনের কোনো বিকল্প নেই। একইসঙ্গে, যোগ্য সবাইকে টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সরকারের পক্ষ থেকে এখনই ব্যবস্থা না নেয়া হলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং সামগ্রিক অর্থনীতি আবারও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
ডিবিসি/এএনটি