দেশে বর্তমানে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। জেনে বা না জেনে বাহক হয়ে ঘুরছেন দুই কোটি মানুষ। এদের মধ্যে এক লাখ মানুষকে নিয়মিত রক্ত নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।
মঙ্গলবার (৬ই মে) রাজধানীর মালিবাগে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক এক কর্মশালায় বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন এসব তথ্য উপস্থাপন করেছে। বংশগত রক্তের এই রোগ নিয়ে দিনে জন্ম নিচ্ছে অন্তত ২০টি শিশু। এতে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা তবে আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে আনতে জোর দিচ্ছেন বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষায়।
৪ বছরের এক শিশু নুসাইবা। তার থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়ার পর বাবা-মা জানতে পারেন তারা থ্যালাসেমিয়ার বাহক ছিলেন। প্রতিমাসে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন হাসপাতালে এসে রক্ত নিতে হয় নুসাইবাকে। তার মতো, এ হাসপাতালে দেখা মেলে নানা বয়সী থ্যালাসেমিয়া রোগীর।
বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত রোগ থ্যালাসেমিয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ রোগে রক্তে অক্সিজেন পরিবহণকারী হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদনে ত্রুটি থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জাতীয় থ্যালাসেমিয়া জরিপ বলছে, বর্তমানে ১১ শতাংশের বেশি থ্যালাসেমিয়ার বাহকের বাস দেশে। যার মধ্যে পুরুষরাই বেশি।
প্রতিদিন থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্ম নিচ্ছে ২০টি শিশু। তবে যে হারে রোগী বাড়ছে, সেই হারে বাড়েনি সেবার মান। চিকিৎসা ব্যবস্থা ঢাকাকেন্দ্রিক হওয়ায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত গ্রামের রোগীরা। বিপুলসংখ্যক রোগীর চিকিৎসায় আছেন ১৫০ জনেরও কম রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ। বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষাসহ নিয়মিত সামাজিক প্রচারণা চালিয়ে দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগী কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ডিবিসি/ রাসেল