চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গোপনে দেশ ছেড়েছেন। বুধবার (৭ই মে) দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন বলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, গত রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাইবাছাই শেষে দেশ ছাড়ার সবুজ সংকেত পান তিনি।
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ইমিগ্রেশন বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেন, আমি আজ সকালে জানতে পেরেছি সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ দেশত্যাগ করেছেন।
বিমানবন্দরের সূত্রটি জানায়, থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে আবদুল হামিদ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা হন। রাত ১১টার দিকে তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছান এবং ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দেশত্যাগের অনুমতি পান।
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে। মামলা দায়েরের আগে কিশোরগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশত মামলা হলেও, সেগুলোতে আবদুল হামিদের নাম ছিল না।
ডিবিসি/এনএনটি