ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনবাস অঞ্চল পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে দেশটিতে রুশ সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ধ্বংসযজ্ঞ চলছে অঞ্চলটিতে।
গেল মাসে কিয়েভ থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার পর দোনবাস দখলে নিতে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে মস্কো। এরফলে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ লুহানস্ক ও দোনেস্ক নরকে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জেলেনস্কি।
বৃহস্পতিবার এক ভাষণে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট বলেন, দখলদাররা দোনবাসে আরও চাপ বৃদ্ধি করেছে। এই অঞ্চলটি ‘নরকে’ পরিণত হয়েছে এবং এটি মোটেই বাড়িয়ে বলা নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওডেসা অঞ্চলসহ মধ্য ইউক্রেনের শহরগুলোতে ক্রমাগত রুশ হামলা চলছে। আর দোনবাস সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।’ জেলেনস্কির ভাষায়— এটি যতটা সম্ভব ইউক্রেনীয়দের হত্যা করার, যতটা সম্ভব বাড়িঘর, সামাজিক সুবিধা ও উদ্যোগগুলোকে ধ্বংস করার জন্য ইচ্ছাকৃত এবং অপরাধমূলক প্রচেষ্টা।’
কিয়েভে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর থেকে রুশ সেনারা দোনবাসের বিভিন্ন অঞ্চল দখলে সচেষ্ট। তারা সেখানে গোলা, শব্দহীন বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
বিদ্যমান এই পরিস্থিতিতে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির জন্য লাখ লাখ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার অঙ্গীকার করেছে বিশ্বের ধনী দেশগুলো।
আরও স্পষ্ট করে বললে, রুশ-ভাষী মানুষকে রক্ষা এবং রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রক্ষার কথা বলে দোনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল নিয়ে গঠিত দোনবাস ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা করছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। আর এতেই রুশ সেনাদের ব্যাপক গোলাবর্ষণে বিধ্বস্ত হচ্ছে ইউক্রেনের এই শিল্প এলাকা।
এদিকে ইউক্রেনের জন্য চার হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। দেশটিকে আরও এক হাজার আটশো কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে উন্নত দেশগুলোর জোট জি-সেভেন।
এছাড়াও কিয়েভকে অত্যাধুনিক অ্যান্টি শিপ মিসাইল দেয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।