বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ, অপরাধ

দৌলতপুর সীমান্তে জব্দ মাদক বিক্রি, জড়িয়ে পড়ছে পুলিশও

ডিবিসি ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:১৫:২৯ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানে পুলিশ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে একটি নতুন সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এই চক্রের সদস্যরা অভিযানে উদ্ধার হওয়া মাদক সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের এসআই ইস্রাফীল ও কনস্টেবল বুলবুল আহম্মেদ ৮ হাজার পিস নিষিদ্ধ টাপেন্টাডলসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন। কিন্তু জব্দ করা মাদকের বড় অংশ কমলাপুরের বাসায় নিয়ে ভাগ-বাটোয়ারা করেন এবং মাত্র ৭৫০ পিস জব্দ দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত কনস্টেবল বুলবুল দাম্ভিকতার সঙ্গে স্বীকার করেন যে, ডিবিতে দক্ষ লোক না থাকায় তিনিই একা ডিবি চালান।


একইভাবে, তেকালা পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আনিছুর রহমান আনিছ এবং কনস্টেবল সোহেলের বিরুদ্ধেও জব্দ করা ফেনসিডিল বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সবশেষ গত ১০ই জুলাই দৌলতপুর থানার ওসি নাজমুল হুদা ও সেকেন্ড অফিসার সাধন কুমারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৮৯০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে মামলা না দিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।


পুলিশের পাশাপাশি সীমান্তের ফিলিপনগরসহ কয়েকটি ইউনিয়নে যুবদলের নেতা রাখিবুল ইসলাম রাখির নেতৃত্বে মাদক ও অস্ত্রের নেটওয়ার্ক সক্রিয় রয়েছে। এসব নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২৮শে মে আরিফ হোসেন এবং ২৭শে জুন মোহিদ নামে দুজন খুন হন।


এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান সীমান্তে অভিযান জোরদারের কথা বলেছেন। অন্যদিকে, কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানিয়েছেন, মাদক ব্যবসায় কোনো পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

ডিবিসি/পিআরএএন

আরও পড়ুন