দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো অন্য দেশে স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েন করল জার্মানি। রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিহত করতে লিথুয়ানিয়ায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বার্লিন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পদক্ষেপে বাল্টিক অঞ্চলসহ পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর বিরুদ্ধে চাপ বাড়াতে পারে রাশিয়া।
বাল্টিক সাগরের তীরবর্তী দেশ লিথুয়ানিয়া। যা রাশিয়ার ভূখন্ড কালিনিনগ্রাদ এক্সক্লেভ ও রুশ মিত্র পোল্যান্ডের মাঝে অবস্থিত। ১৯৪০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন লিথুয়ানিয়াকে দখল করলেও ৫০ বছর পর নিজেকে স্বাধীন ঘোষণা করে এই দেশ। লিথুয়ানিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্র। যা রাশিয়া ও লিথুয়ানিয়ার মধ্যে বিরোধিতার মূল কারণ হয়ে দাড়াঁয়।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখলের পরেই লিথুয়ানিয়াকে নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়ে ন্যাটো সদস্যদের কপালে। দেশটিতে সেনা মোতায়েনের চিন্তা-ভাবনা করে জার্মানি। ২০১৭ সালে অস্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েন করলেও ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর লিথুয়ানিয়ায় স্থায়ীভাবে প্রতিরক্ষা জোরদারের কথা জানায় জার্মানি।
সম্প্রতি চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের লিথুয়ানিয়ায় সফরের মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছে জার্মানি। লিথুয়ানিয়া বলছে, এ পদক্ষেপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, লিথুয়ানিয়ায় স্থায়ী সেনা মোতায়েনকে ন্যাটোর কাছ থেকে সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখবে রাশিয়া। যা এ অঞ্চলসহ ন্যাটোর বিরুদ্ধে পুতিন প্রশাসনের উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
ডিবিসি/আরএসএল