পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রায় গতি এলেও এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি দ্বীপ জেলা ভোলায়। দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে এখনো বিচ্ছিন্ন প্রায় ২০ লাখ মানুষের এই জেলা। প্রায় ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের আশ্বাস মিললেও কবে এর বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে সন্দিহান এলাকাবাসী।
জেলার ২৫০ শয্যার হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। তারা ভোলার প্রাকৃতিক গ্যাস স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া, ভোলা খালসহ বিভিন্ন নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্লক বাঁধ নির্মাণের দাবিও এখানকার বাসিন্দাদের। শহর থেকে মাত্র ৩০ মিনিটের দূরত্বে থাকা ভোলা খালের ভাঙ্গনে প্রতিদিন বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি।
এ বিষয়ে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজাদ জাহান জানান, ভোলা-বরিশাল সেতু বাস্তবায়নের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। গ্যাস ও চিকিৎসা সেবার সংকট নিরসনেও কাজ চলছে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
ডিবিসি/কেএলডি