ঢাকার ধামরাইয়ের ভোগান্তি কমাতে নতুন সেতু নির্মাণ শুরু হলেও উল্টো তৈরি হয়েছে দুর্ভোগ। এক ঠিকাদার নির্মাণ কাজ শুরুর পর পালিয়ে যায়, এরপর অন্য ঠিকাদার কাজ শুরু করলেও চলছে ধীরগতিতে।
সব মিলিয়ে প্রায় ৩ বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, এই বছরেই কাজ শেষ হবে এবং স্থানীয় জনগণ সুফল পাবে।
ঢাকার ধামরাইয়ের বাথুলি থেকে কালামপুর-সাটুরিয়া সড়কের বেলিশ্বর এলাকায় খালের ওপর জরাজীর্ণ পুরনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের জুন মাসে। যোগাযোগ ব্যবস্থার ভোগান্তি লাঘবের স্বপ্ন দেখলেও তৎকালীন ঠিকাদার কাজ ফেলে পালিয়ে যাওয়ায় সেই স্বপ্ন ভেস্তে যায়।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০২৪ সালের ৫ই ডিসেম্বর সেতু নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হয়। তবে কাজের ধীরগতির কারণে এখনও ভোগান্তি পোহাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত যেন কাজ শেষ হয়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুত কাজ শেষ করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ধামরাইয়ের উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোহাম্মদ মিনারুল ইসলাম আশা করছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ সেতুটিতে যান চলাচল শুরু করা সম্ভব হবে। ২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রিন্স এন্টারপ্রাইজ। সেতুটি নির্মাণ শেষ হলে আশপাশের কয়েক হাজার বাসিন্দার নিয়মিত চলাচলে দুর্ভোগ কমবে।
ডিবিসি/ এইচএপি