হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক এ কে সাজু জানান, মহাদেবপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে গত দুদিন ধরে গভীর রাত পর্যন্ত জমির দলিল রেজিস্ট্রি হচ্ছে; এমন খবরের ভিত্তিতে তিনি তথ্য সংগ্রহের জন্য সেখানে যান। বুধবার বিকেলে তিনি অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলছিলেন। এ সময় অফিসের ভেতরে জমি দাতা ও গ্রহীতাদের মধ্যে মারামারি শুরু হলে তিনি তার ক্যামেরায় সেই দৃশ্য ধারণ করতে থাকেন।
তিনি আরও জানান, ভিডিও করার সময় এক ব্যক্তি এসে তাকে বাধা দেয় এবং নিজেকে থানার লোক পরিচয় দিয়ে ভিডিও করতে নিষেধ করে। পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়ার এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির জেরে ওই ব্যক্তি তার শার্টের কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে অফিসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে কেঁচি গেট লাগিয়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন তাকে ঘিরে ফেলে অতর্কিত হামলা চালায় এবং মারধর করে। হামলাকারীরা তার ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, ইয়ারফোন এবং ডিবিসি নিউজের পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নিয়ে তাকে আটকে রাখে।
খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিক ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এ ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আহত সাংবাদিক।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন রেজা বলেন, "খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
এদিকে, সাংবাদিক এ কে সাজুর ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা হাসপাতালে তাকে দেখতে ছুটে যান। তারা এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
ডিবিসি/এমএআর