ভারতে এক ব্যক্তি একটি নকল দূতাবাস চালিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দিল্লি সংলগ্ন একটি বিলাসবহুল সম্পত্তি থেকে এই ভুয়া দূতাবাসের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল।
জানা গেছে, অভিযুক্ত হর্ষবর্ধন জৈন নিজেকে "সেবোর্গা" বা "ওয়েস্টার্কটিকা"র মতো কাল্পনিক রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বা উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দিতেন। তিনি লোকজনকে বিদেশে চাকরি বা চুক্তি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করতেন। জৈন কাল্পনিক দেশের জাতিগুলোর সাথে তার কূটনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, জৈন একটি ভাড়া করা আবাসিক ভবনে এই কার্যক্রম চালাতেন। বাইরে নকল কূটনৈতিক লাইসেন্স প্লেটযুক্ত বিলাসবহুল গাড়ি রাখা থাকত।
অভিযানের সময় পুলিশ ৪.৫ মিলিয়ন ভারতীয় রুপি (প্রায় $৫২,০৯৫) এবং অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করে। এছাড়াও, তদন্তকারীরা দূতাবাস থেকে বিশ্বনেতাদের সাথে জাল ছবি, নকল পাসপোর্ট এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কাল্পনিক দেশগুলোর নকল সীলমোহর উদ্ধার করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা সুশীল ঘুলে জানান, জৈন জালিয়াতি, ছদ্মবেশ ধারণ এবং জাল নথি রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে বিদেশি শেল কোম্পানির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। জৈন একটি ধনী শিল্পপতি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ভারত ও লন্ডনে ব্যবসা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন বলে জানা গেছে।
তথ্যসূত্র দা গার্ডিয়ান।
ডিবিসি/এমইউএ