বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। আনা হবে স্বচ্ছতা, বাতিল হবে বেশ কিছু খাত। তবে খুব সামান্যই বাড়বে সুবিধাভোগী ও তাদের ভাতার পরিমাণ। আগামী বাজেটে এ নিয়ে থাকবে নানা দিক নির্দেশনা। তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তবর্তী সরকারের ৯ মাসের সংস্কার কার্যক্রমে কোনো নজরই নেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দিকে।
শেরপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ খালেদা খাতুন। পরিবারের সবাইকে হারিয়ে এখন তিনি ব্যস্ত শহরে। বয়সের ভারে কাজ করতে পারেন না। নানান জটিলতায় পান না সরকারি সহায়তাও। মূলত দেশের দরিদ্র ও প্রান্তিক পরিবারগুলোর জন্যই সরকারের আর্থিক প্রনোদনার বরাদ্দ থাকলেও উপকারভোগী শনাক্তে নানা অনিয়মের কারণে তার মতো অনেকেই সুবিধা বঞ্চিত। প্রতি বাজেটে সামান্য ভাতা বাড়ানো হলেও জিডিপির অনুপাতে এ খাতে বিশ্বের সবচেয়ে কম ব্যয় করে বাংলাদেশ।
চলতি অর্থবছরে এ খাতে ১৪০টি কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা। তবে, এতে আছে উন্নয়ন বাজেটের বিভিন্ন কর্মসূচিও। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এসব কর্মসূচিতে কাটছাট করা হবে। আগামী বাজেটে বয়স্ক ভাতা কর্মসূচিতে নতুন করে উপকারভোগী যুক্ত হবে। বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও দুস্থ নারী উপকারভোগীর সংখ্যা ও ভাতার পরিমান দুই’ই বাড়ছে।
ডিবিসি/আরএসএল