চলতি বছরেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠাবইয়ের অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করতে যাচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। রবিবার (২৮শে ডিসেম্বর) থেকে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে এসব পাঠ্যবইয়ের পিডিএফ কপি পাবেন শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (২৬শে ডিসেম্বর) রাতে ডিবিসি নিউজকে এনসিটিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি গণমাধ্যমে জানান, শিক্ষার্থীরা বছর শুরুর আগেই এবার নতুন পাঠ্যপুস্তকের অনলাইন সংস্করণ পড়তে পারবে। আগামী রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে (www.nctb.gov.bd) প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণের ৬৪৭টি পাঠ্যপুস্তকের পিডিএফ কপি পাবে শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে এবার প্রায় ৩০ কোটি বই ছাপা হবে, যার শতভাগই দেশিয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ছাপানোর কাজ চলছে। গত ১৬ ডিসেম্বর প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ কপি নতুন বই ছাপার কাজ শেষ হয়েছে। তবে মাধ্যমিক ও এবতেদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য ২১ কোটি ৪৩ লাখ বই ছাপার কাজ অনেকটাই বাকি রয়েছে। তাই নতুন বছরের প্রথম দিনের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীর হাতে সব নতুন বই তুলে দেয়া সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
এস এম আসাদুজ্জামান জানান, শিক্ষার্থীরা বই পেতে দেরি হলেও যেন অনলাইন থেকে সংগ্রহ করে পড়া চালিয়ে যেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই বছর শুরুর আগে এবার অনলাইনে বই প্রকাশ পাচ্ছে।
এনসিটিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রবিবার বেলা ১১টায় এনসিটিবি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইন সংস্করণ উদ্বোধন করা হবে। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এখন পর্যন্ত মোট বইয়ের ৫৫ শতাংশ উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ হয়েছে। আমাদের ৭১ শতাংশ বই ছাপানোর কাজ ইতোমধ্যে শেষ। এবতেদায়ী পর্যায়ে সব বই এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির সবগুলো বই বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ৭০ শতাংশ বই বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা পাবেন। বাকি বই ১৫ জানুয়ারির মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ডিবিসি/কেএলডি