ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) বইছে নতুন হাওয়া। দলের দুঃসময়ের কাণ্ডারি, বর্ষীয়ান এবং প্রয়াত নেতাদের অন্তত অর্ধশত সন্তান এবার দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিজেদের জানান দিচ্ছেন।
তারা শুধু পারিবারিক পরিচয়েই পরিচিত নন, বরং গত দেড় দশকের আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে আন্দোলন-সংগ্রামে রেখেছেন সক্রিয় ভূমিকা এবং দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন রয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছিলেন।
১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত বিএনপির অনেক প্রতিষ্ঠাতাই আজ প্রয়াত। যারা জীবিত আছেন, তাদের অধিকাংশই হয় প্রবীণ অথবা রাজনীতির মাঠ থেকে অবসর নিয়েছেন।
এই শূন্যস্থানে হাল ধরতে এগিয়ে এসেছেন তাদেরই সন্তানেরা। জেল, জুলুম ও নির্যাতন উপেক্ষা করে যারা দলের রাজনীতিকে সাংগঠনিকভাবে ধরে রেখেছেন, তারাই এখন নেতৃত্বের সামনের সারিতে আসতে চান।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের এই তালিকায় রয়েছেন ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমানের কন্যা শামা ওবায়েদ, প্রয়াত তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, প্রয়াত বদরুজ্জামান খানের ছেলে মাহমুদুর রহমান সুমন, নিপুন রায় চৌধুরী, ইসরাফিল খসরু, মঞ্জুরুল করিম রনি, সাঈদ আল নোমান, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের মেয়ে অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল, সাবেক এমপি সালাউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানভীর আহমেদ রবিন এবং প্রয়াত আ স ম হান্নান শাহর ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নানসহ প্রায় অর্ধশত তরুণ নেতা।
এই তরুণ নেতারা মনে করেন, বংশপরম্পরার রাজনৈতিক ইতিহাস এবং দীর্ঘদিনের দলীয় ত্যাগের কারণে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় তাদের প্রতি সাধারণ মানুষ ও কর্মীদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সেই প্রত্যাশা পূরণের গুরুদায়িত্ব নিতে তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। গত ৫ই আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশে যে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি হয়েছে, তাতে বিএনপিতে তারুণ্যনির্ভর নেতৃত্বের প্রাধান্য পাবে বলে তারা আশাবাদী। তাদের বিশ্বাস, দল তাদের ত্যাগ ও সামর্থ্যের সঠিক মূল্যায়ন করবে।
ডিবিসি/পিআরএএন