বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
গ্রেপ্তার দেখানো অপর আসামিরা হলেন- সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও ডিএমপি’র সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চার আসামিকে নতুন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর আদালত তাদের আবার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চারজনের মধ্যে রামপুরা থানায় দায়ের করা রমজান মিয়া হত্যা মামলায় ইনু ও পলককে, মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান আলভী হত্যা মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদারকে এবং ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া শামিম মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় শহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রমজান মিয়া হত্যা মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত বছরের ১৯শে জুলাই পশ্চিম রামপুরা ওয়াপদা রোড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন রমজান মিয়া। এদিন সকাল ১০ টায় আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হলে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে, আলভী হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৪ঠা আগস্ট মিরপুর ১০ এ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান আলভী। বিকাল ৪ টায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর মারা যান আলভী।
শামিম মিয়া হত্যা চেষ্টার মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত বছরের ১৯শে জুলাই ভাটারা এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী মো. শামিম মিয়া। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পথে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা চালায়। হামলায় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তার শরীরে চারটি গুলি লাগে। পরে দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন। ঘটনার প্রায় ছয় মাস পর, চলতি বছরের ২২শে জানুয়ারি তিনি নিজেই বাদী হয়ে রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা দায়ের করেন।
ডিবিসি/এএমটি