রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশনের অফিসে এসি বিস্ফোরণের ঘটনাটি দুর্ঘটনা নয়, বরং এটি ছিল একটি পরিকল্পিত বিস্ফোরণ ও হত্যাকাণ্ড। তিন মাসের তদন্ত শেষে এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আর্থিক লেনদেনের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলাই ছিল এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য।
চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বিয়াম ফাউন্ডেশনের পঞ্চম তলায় এই বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি, আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই অফিস সহায়ক আব্দুল মালেক নিহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গাড়িচালক ফারুক।
সোমবার (২৮শে জুলাই) কল্যাণপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই-এর বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুর রহমান জানান, বিয়ামের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হয়েছিল। নথিপত্র ধ্বংস করে আর্থিক লেনদেন গোপন করার জন্য একটি গ্রুপের সঙ্গে ১২ লাখ টাকায় চুক্তি করা হয়। পিবিআই আরও জানায়, এই পরিকল্পনায় নিহত অফিস সহায়ক মালেক ও গাড়িচালক ফারুকও অংশ নিয়েছিলেন, যদিও পরিকল্পনাকারীদের উদ্দেশ্য হত্যা ছিল না।
নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে হাতিরঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল, যার তদন্তভার পায় পিবিআই। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ডিবিসি/কেএলডি