নাটোরে চালক আলমগীরকে ধরার পরে বেরিয়ে আসে বাস ডাকাতির সমস্ত তথ্য। যাত্রীর কাছে টাকা থাকলে অথবা সুপারভাইজার এর কাছে থাকা টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার জন্য তথ্য দেন বাসের চালক আলমগীর হোসেন।
নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এবং হারপিক মোড়ে সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য রবিন বাদশা শাহীন সেন্টু বিভিন্ন বাসে ডাকাতি করে। নাটোরের বাসে কোনো যাত্রীর কাছে টাকা থাকলে অথবা সুপারভাইজার এর কাছে থাকা টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার জন্য তথ্য দেন বাসের চালক আলমগীর হোসেন।
৬ বছর ধরে আরপি স্পেশাল যাত্রীবাহী বাস চালান এই আলমগীর হোসেন। সে গুরুদাসপুর উপজেলার জনৈক আব্দুর রহমানের ছেলে। নাটোর ঢাকা নারায়ণগঞ্জ রুটে যে বাস তিনি চালান প্রায় দিনই সেই বাসে ডাকাতি হয়। কিন্তু সুপারভাইজার হেলপার এবং বিভিন্ন কাউন্টারের দায়িত্বরতরা কিছুতেই এর কূলকিনারা করতে পারে না। আজও নারায়ণগঞ্জ থেকে নাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া আরপি স্পেশাল বাস নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়া রূপসী এলাকায় প্রতিদিনের মতো বাসে উঠে ডাকাত রবিন বাসের সুপারভাইজার ওবায়দুরকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। সুপারভাইজার ঘটনাটি নাটোর কাউন্টারে জানিয়ে দেয়।
তখন ম্যানেজার ঘটনাটি মদন এলাকায় বিভিন্ন বাস কাউন্টারে জানালে একসময় ডাকাত সর্দার রবিন নাটোর কাউন্টারে ম্যানেজারকে ফোন করে এই ডাকাতির রহস্য উন্মোচন করে দেয়। ডাকাত রবিন বাস চালক আলমগীরের সংশ্লিষ্টতার তথ্য জানিয়ে দেয়।নাটোর কাউন্টারে আসার পর আলমগীরকে চ্যালেঞ্জ করে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার পরে ফোন কল রেকর্ডে ডাকাতদের সাথে তার যোগাযোগের কল রেকর্ডটি ফাঁস হয়। পরে বাস কাউন্টারের দায়িত্ব রত ম্যানেজার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে আলমগীরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এমন ঘটনায় বিস্ময়ের সৃষ্টি হয় পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে। তারা চালক আলমগীরের কার্ড বাতিলসহ কঠোর শাস্তি চান।