প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা থেকে যাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাসটি (ঢাকা মেট্রো-চ-১৬-৯৭৯২) সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার দিকে যাচ্ছিল। পথে তরমুজ পাম্প এলাকায় মাইক্রোবাসটি অন্য একটি ট্রাককে ওভারটেক করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট-২৪-৪৮৬৪) সঙ্গে এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই এর ভেতরে থাকা ৫ জন যাত্রী প্রাণ হারান।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ৩ জনকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। বাকি দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে, বুধবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুইজনেরও মৃত্যু ঘটে, ফলে এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৮-এ পৌঁছায়।

নিহত ৮ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদাহ গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৭৫), আঞ্জুমান আরা বেগম (৭৪), জাহিদুল ইসলাম (৬৫), সেলিনা বেগম (৫৫), ইতি খাতুন (৪৫) এবং আমেনা বেগম (৫০)। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণকারী দুজন হলেন সীমা খাতুন (৩৫) এবং মাইক্রোবাসের চালক সাহাব হোসেন রুবেল (৩৫), যাদের বাড়ি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায়।

নিহতদের একজন আত্মীয় ও সড়ক ও জনপথ বিভাগ, রাজশাহীর সাব-ডিভিশন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল রাজ্জাক জানান, নিহতরা সবাই তার আত্মীয়। তারা সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার নান্দীরামধু গ্রামে তার অসুস্থ পুত্রবধূ শাফিয়া বেগমকে দেখতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের সকল যাত্রীই প্রাণ হারালেন।

বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং এ বিষয়ে অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

ডিবিসি/এএমটি