দেশের পাশাপাশি বিদেশেও কার্যক্রম চালাতে চায় কৃষক লীগ।
রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে কৃষকদের কল্যাণে বা দাবি-দাওয়া নিয়ে কখনোই কৃষক লীগকে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। এমনকি ঢাকা মহানগরীতেও রয়েছে এর কমিটি। যদিও শহরে কৃষিকাজ বলতে কিছু নেই। সংগঠনটি এবার বিদেশেও কৃষক লীগের কমিটি করার চিন্তাভাবনা করছে।
কৃষক সমাজের স্বার্থ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও তাদের সংগঠিত করতে ১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে কৃষকলীগের জন্ম। সংগঠনটির সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১২ সালের ১৯ জুলাই। বর্তমান কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে ২০১৫ সালেই।
গত ৭ বছরে কৃষকদের নিয়ে কোন কর্মসুচি পালন করতেও দেখা যায়নি তাদের।
ইটকাঠের এ শহরে কৃষকদের নিয়ে কাজ করার কোন সুযোগ নেই। তাহলে রাজধানীতে কি কাজ কৃষকলীগের এমন প্রশ্ন তুলেছেন খোদ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকও। তবে কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, কৃষকদের পক্ষে কথা বলার জন্যই তাদের রাজধানীতে থাকার প্রয়োজন রয়েছে।
কৃষক লীগ সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা বলেন, কৃষি কাউন্সিল,খামার, কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এসব কিছুর অফিসই ঢাকাতে। তাই কৃষকদের পক্ষে কথা বলতে হলে আমাদের ঢাকাতেই অবস্থান করা উচিত।
কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল রেজা বলেন, আমাদের গঠণতন্ত্রে বলা আছে যারা কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য চিন্তা করে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষির পক্ষে সাহায্য করে তারাই এই কমিটির সদস্য হতে পারবে। তাই কৃষক ছাড়া এই কমিটির সদস্য হওয়া যাবে না, এই প্রশ্ন অবান্তর।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মতে, কমিটি সর্বস্ব সংগঠন নয়, কৃষকলীগের কার্যক্রম হতে হবে গ্রামমুখী।
আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ফসলি জমি অনেক হারিয়ে যাওয়ার পরও আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন। এই বিষয়গুলি নিয়েই কিন্তু গ্রামগঞ্জভিত্তিক কৃষক সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। এইজন্য গ্রামে যেতে হবে, কৃষকদের কাছে যেতে হবে। সাইনবোর্ড লাগিয়ে আর ধানমন্ডি-গুলশান, ডুবাই-কাতার কৃষকলীগ আমরা চাই না।
এদিকে, আগামী ৬ই নভেম্বর কৃষকলীগের সম্মেলনে কার্যনির্বাহী কমিটি ও আওয়ামী লীগ সভাপতির অনুমোদন সাপেক্ষে দেশের বাইরেও কমিটি দেবার প্রস্তাব রাখা হবে।